জেলায় র‌্যালী ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে মহান মে দিবস উদযাপন

208

শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি- উন্নয়নের শপথ করি- প্রতিপাদ্যে জেলায় র‌্যালী ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে মহান মে দিবস উদযাপন করা হয়েছে। আজ সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ শহীদ মিনার চত্বরে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। আলোচনা সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) দেবেন্দ্রনাথ উরাঁওয়ের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক এ জেড এম নূরুল হক। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুব আলম খান, পৌরমেয়র নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মুখলেসুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন, জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ অন্যান্যরা। র‌্যালী ও আলোচনা সভায় অংশ নেয় প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি। আমদের জেলায় কর্মঠ শ্রমিকরা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে কাজ করছেন। আপনারা চাইলে যেকোনো কাজের জন্য প্রশিক্ষণ বা সামর্থ্যহীন শ্রমিকদের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে জানিয়ে জেলাপ্রশাসক এ জেড এম নূরুল হক বলেন, মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটি না হয়ে শহীদ মিনার চত্বরে হয়ে ভালই হয়েছে। কারণ, আমাদের শ্রমিকরা কি পরিমাণ কষ্ট করে কাজ করেন তা সবাই উপলব্ধি করতে পেরেছেন। প্রত্যেক ধর্মই শ্রমিকদের কথা বলেছে- যে শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগে তার পাওনা শোধ করতে হবে। জাতির পিতা বলেছিলেন, পৃথিবী আজ দুই ভাগে বিভক্ত-শাসক আর শোষিত আমি শোষিতের পক্ষে। বঙ্গবন্ধু অবশ্যই শোষিতের পক্ষে ছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর দর্শন সকলের উন্নয়ন। উন্নয়নের যে মহাকর্মযজ্ঞ চলছে সেখানে প্রধানমন্ত্রী চান কোনো একক মানুষ যেন উন্নয়নের বাইরে না থাকে। বর্তশান সরকার শ্রমিক বান্ধব সরকার। শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় সবচেয়ে জরুরি শ্রমিক মালিক ঐক্য। আমাদের জেলায় এধরনের সমস্যা নেই। শ্রমিক মালিক মোটামোটি ঐক্য আছে। আমরা ধারাবাহিকতা বজায় রাখব। কয়েক দিন আগে একজন বিদেশী ইরাকী নাগরিক আসছিলেন। তার সাথে আমার দেখা হয়েছে। উনি বললেন আমাদের দেশ থেকে নির্মাণ শ্রমিক রিক্রুট করতে। আমি বললাম, শ,ুধু আমাদের দেশ থেকে কেন নিতে চান এবং সব জেলা বাদ দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে শ্রমিক নিতে আগ্রহী কেন। উনি জবাব দিলেন, আমাদের ওখানে বাংলাদেশের অনেক শ্রমিক কাজ করে যাদের বেশিরভাগের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ। তারা খুবই দক্ষ, খুব ভাল। এই জন্য শ্রমিক রিক্রুট করতে আসছি। এতেকরে মনটা ভরে গেছে। একই ভাবে সিলেটেও তাই। আমি কয়েকটি কথা বলতে চাই, আমাদরে এখানে যারা নির্মঅণ শ্রমিক আছেন যারা বিদেশে কাজ করেন বা এখানে কাজ করেন, তাদের জন্য যদি উন্নত কোনো প্রশিক্ষণের দরকার পড়ে বা আগ্রহী হন, যদি আর্থিক সার্পোট লাগে, আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেয়ার চেষ্টা করব। বারঘরিয়ায় যে টিটিসি রয়েছে, ওখানে বিভিন্ন কোর্স আছে, সেখানে দক্ষ শ্রমিক তৈরি হবে এতে সন্দেহ নেই। সরকার চাচ্ছে কারিগরি প্রশিক্ষণ ২০ ভাগে নিয়ে যেতে। বর্তমানে ১৪ ভাগে রয়েছে। পুরাতন শ্রমিকরা যদি দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ চান জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেয়ার চেষ্টা করব, আমি আপনাদের লোক। হোটেল শ্রমিকরাও বিভিন্ন দেশে কাজ করছে, সেফ হিসেবে, বয়-ওয়েটার হিসেবে। জাপান টোকিওর বেশিরভাগ হোটেল শ্রমিকের বাড়ি নেপাল। সেখানে যেতে হলে আপনাকে জাপানি ভাষা জানতে হবে। বাস মালিক গ্রæপের পক্ষ থেকে শষ্রমিকদের সন্তানরা জিপিএ পেলে সংবর্ধনা, প্রণোদনা, আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়। আমি বলব, জিপিএ পেলে নয় সে স্কুল গেলে, লেখাপড়া করলেই যেন পায়। যদি আর্থিক সমস্যা হয় বা টানাপোড়েন থাকে, যেকোনো শ্রমিকের সন্তানের জণ্য বিশেষ বিবেচনায় আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০-২০ জনের জন্য ১ হাজার করে বৃত্তির ব্যবস্থা করে দিতে পারব। যারা হোটেল শ্রমিক রয়েছেন তাদের জন্য নিরাপদ স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে। আপনি রোগাক্রান্ত থাকলে, সংক্রামক ব্যাধি বা চর্মরোগ থাকা চলবে না। কারণ, অন্যের মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়তে পারে। সিভিল সার্জন থাকলে ভার হতো। আপনারা প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাবেন। আপনি অবশ্যই সরকারি হাসপাতালগুলোতে নিয়মিত যাবেন। ছোটো বেলা থেকেই শুনে আসছি দুনয়ার মজদুর এক হও, এখন কিছুটা হয়েছে। পরিবহণ শ্রমিকদের জন্য বলব, আপনারা কোনো অবৈধ জিনিস পরিবহণ করবেন না। যেমন, গান পাউডার, মাদক, অস্ত্র, দাহ্যবস্তু-যা মানুষের জন্য ক্ষতিকর তা পরিবহণ করবেন না। করলে আপনি, আপনার মালিক, পরিবহণের চালক হেলপার সবাই দায়ী থাকবেন। অবৈধ মাল উঠালে কোনো ভাবেই তাকে সহযোগিতা করবেন। শ্রমিকদের অধিকার যতটা হবার কথা ছিল ততটা হয়নি। তবে বর্তশান সরকার শ্রমিকবান্ধব সরকার, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে সেহেতু আপনারাও এগিয়ে আসবেন। কেউ একজন পিছিয়ে থাকলে উন্নয়ন সার্থক হবে না। আর অবশ্যই শিশু শ্রমিক নিয়োগ করবেন না, ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ দিতে পারবেন না। এটা বেআইনি। ১৪ বছরের পরে হাল্কা কাজে ও ১৮ বছরের পরে যেকোনো কাজে নিয়োগ দিবে পারবেন। আমাদের বাবা-মা যে অবস্থানে ছিলো তার ভালো অবস্থানে আমরা আছি। আর তাই উন্নয়ন এগিয়ে নিতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে, এগিয়ে আসতে হবে। দেশের এই অগ্রযাত্রা কেউ ঠেকাতে পারবে না যদি আপনারা নিজেদের জায়গা থেকে সচেতন হন সহযোগিতা করেন। আজ সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে র‌্যালী পরবর্তী আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন, জেলা ট্যাঙক,লরি কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক সমিতির সভাপতি সাইদুর রহমান, জেলা বাস মালিক গ্রæপের সভাপতি এ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান, জেলা ট্রাক মালিক গ্রæপের সভাপতি এ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ বকুল, হোটেল শ্রমিক নেতা দেলোয়ার হোসেন সবুজসহ ইমারত শ্রমিক, স্বর্ণশিল্প শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এসময় তারা বলেন, আমদের নির্দিষ্ট সময় কর্মঘন্টা রাখতে হবে ও নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র প্রদান করতে হবে। আমরা যখন রাতে কাজ শেষ করে বাসায় ফিরি তখন রাস্তায় অনেকত ঝামেলা হয়রানি পোহাতে হয়। কোনো কোনো হোটেল বা দোকানে প্রায় ২৪ ঘন্টা ডিউটি পালন করতে হয় আমাদের। আমরা মাসে ৪টা ছুটি পায়না, পরিবারকে সময় দিতে পারি না। মালিকরা বলেন নিায়োগপত্র দিতে চান না। গ্রাম তেকে আসা শ্রমিকদের কম বেতনে কাজ দেয়া হয় আর দক্ষ শ্রমিকদের ছাঁটাই করা হয়। খাবারে ভেজাল দেওয়া হয় যার ফল ভোগ করতে হয় আমাদের। সামনে রমজান আসছে। আমরা চাই দক্ষ শ্রমিকরা যেন কাজ পায়। আমাদের আগের ৬ দফা সহ এখনকার ২ দফা নিয়ে আট দফা দাবি মানবেন। সোনা মূল্যবান ধাতু। আমরা স্বর্ণশিল্পের সাথে জড়িত। এই কাজ করতে গিয়ে আমাদের অঙ্গহানি, চোখের সমস্যা দেখা দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে থাকে এবং এর উপর ভিত্তি করে মুদ্রানীতি করে থাকে। স্বর্ণকারদের কোনো বৈধতা নেই। আমরা চাই স্বর্ণকার ব্যবসাকে বৈধ করা হোক। ইমারত, দালান, বড় বড় বিলি।ডং গড়ে উঠে ইমারত নির্মঅণ শ্রমিকের কষ্টের কাজের মধ্যে। একাজে যখন কোনো দূর্ঘটনা ঘটে, অঙ্গহানি ঘটে মালিক পক্ষ দায় নিতে চায় না। তখন তাকে ভিক্ষা করে খেতে হগয় যা আমাদের জণ্য লজ্জার। তাই এধরণের ঘটনা ঘটলে যেন মালিক পক্ষ সহায়তা এবিষয়ে একটু নজর দেবেন। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুব আলম খান বলেন, যে ব্যক্তি শ্রমের বিনিময়ে জীবিকা নির্বাহ করে, জীবন চালায় সেই শ্রমিক। আমরাও শ্রমিক, আপনারাও শ্রমিক, মালিক যিনি তিনিও কোনো না কোনোভাবে শ্রমিক। মারিখ শ্রমিক এখানে আলাদা কিছু নয়। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে আরো এগোবে। এসডিজির কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌছাতে মালিক শ্রমিক সবাইকে হাত বাড়াতে হবে। দেশকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হলে প্রত্যেকে প্রত্যেকের অবস্থান থেকে কাজ করে যেতে হবে। পয়লা মে দিবসে সবারই একটা প্রতিজ্ঞা হোক দেশের কল্যাণে, নিজের কল্যাণে, পরিবারের কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ হই। পৌরমেয়র নজরুল ইসলাম বলেন, আমি আপনাদের দাবি দাওয়ার সাথে একমত পোষণ করছি এবং আর ঈদ-পুজা পার্বণে আপনারা যে বেতন বোনাস দাবি করেছেন অনেক সংগঠন দিয়ে থাকে। আমার পৌরসভার পক্ষ থেকে হাল্কা কিছু দেয়া হয়। যারা রাস্তা ঝাড়– দেয় তাদের জন্যও কিছু দেয়া হয়। তবে চাহিদার তুলনায় স্বল্প হতে পারে। আপনাদের দাবির প্রতি আমাদের সম্মান শ্রদ্ধা আছে। আমি বলব মালিক শ্রমিক সম্পর্ক হবে ভাই ভাইয়ের মতো। পরস্পরের সহযোগিতায় আমরা আমাদের উন্নয়ন গড়ে তুলব। আজকের মে দিবসে এটাই হোক প্রত্যয়। আমদের জেলায় কর্মঠ শ্রমিকরা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে কাজ করছেন। আপনারা চাইলে যেকোনো কাজের জন্য প্রশিক্ষণ বা সামর্থ্যহীন শ্রমিকদের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে জানিয়ে জেলাপ্রশাসক এ জেড এম নূরুল হক বলেন, মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটি না হয়ে শহীদ মিনার চত্বরে হয়ে ভালই হয়েছে। কারণ, আমাদের শ্রমিকরা কি পরিমাণ কষ্ট করে কাজ করেন তা সবাই উপলব্ধি করতে পেরেছেন। প্রত্যেক ধর্মই শ্রমিকদের কথা বলেছে- যে শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগে তার পাওনা শোধ করতে হবে। জাতির পিতা বলেছিলেন, পৃথিবী আজ দুই ভাগে বিভক্ত-শাসক আর শোষিত আমি শোষিতের পক্ষে। বঙ্গবন্ধু অবশ্যই শোষিতের পক্ষে ছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর দর্শন সকলের উন্নয়ন। উন্নয়নের যে মহাকর্মযজ্ঞ চলছে সেখানে প্রধানমন্ত্রী চান কোনো একক মানুষ যেন উন্নয়নের বাইরে না থাকে। বর্তশান সরকার শ্রমিক বান্ধব সরকার। শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় সবচেয়ে জরুরি শ্রমিক মালিক ঐক্য। আমাদের জেলায় এধরনের সমস্যা নেই। শ্রমিক মালিক মোটামোটি ঐক্য আছে। আমরা ধারাবাহিকতা বজায় রাখব। কয়েক দিন আগে একজন বিদেশী ইরাকী নাগরিক আসছিলেন। তার সাথে আমার দেখা হয়েছে। উনি বললেন আমাদের দেশ থেকে নির্মাণ শ্রমিক রিক্রুট করতে। আমি বললাম, শ,ুধু আমাদের দেশ থেকে কেন নিতে চান এবং সব জেলা বাদ দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে শ্রমিক নিতে আগ্রহী কেন। উনি জবাব দিলেন, আমাদের ওখানে বাংলাদেশের অনেক শ্রমিক কাজ করে যাদের বেশিরভাগের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ। তারা খুবই দক্ষ, খুব ভাল। এই জন্য শ্রমিক রিক্রুট করতে আসছি। এতেকরে মনটা ভরে গেছে। একই ভাবে সিলেটেও তাই। আমি কয়েকটি কথা বলতে চাই, আমাদরে এখানে যারা নির্মঅণ শ্রমিক আছেন যারা বিদেশে কাজ করেন বা এখানে কাজ করেন, তাদের জন্য যদি উন্নত কোনো প্রশিক্ষণের দরকার পড়ে বা আগ্রহী হন, যদি আর্থিক সার্পোট লাগে, আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেয়ার চেষ্টা করব। বারঘরিয়ায় যে টিটিসি রয়েছে, ওখানে বিভিন্ন কোর্স আছে, সেখানে দক্ষ শ্রমিক তৈরি হবে এতে সন্দেহ নেই। সরকার চাচ্ছে কারিগরি প্রশিক্ষণ ২০ ভাগে নিয়ে যেতে। বর্তমানে ১৪ ভাগে রয়েছে। পুরাতন শ্রমিকরা যদি দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ চান জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেয়ার চেষ্টা করব, আমি আপনাদের লোক। হোটেল শ্রমিকরাও বিভিন্ন দেশে কাজ করছে, সেফ হিসেবে, বয়-ওয়েটার হিসেবে। জাপান টোকিওর বেশিরভাগ হোটেল শ্রমিকের বাড়ি নেপাল। সেখানে যেতে হলে আপনাকে জাপানি ভাষা জানতে হবে। বাস মালিক গ্রæপের পক্ষ থেকে শষ্রমিকদের সন্তানরা জিপিএ পেলে সংবর্ধনা, প্রণোদনা, আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়। আমি বলব, জিপিএ পেলে নয় সে স্কুল গেলে, লেখাপড়া করলেই যেন পায়। যদি আর্থিক সমস্যা হয় বা টানাপোড়েন থাকে, যেকোনো শ্রমিকের সন্তানের জণ্য বিশেষ বিবেচনায় আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০-২০ জনের জন্য ১ হাজার করে বৃত্তির ব্যবস্থা করে দিতে পারব। যারা হোটেল শ্রমিক রয়েছেন তাদের জন্য নিরাপদ স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে। আপনি রোগাক্রান্ত থাকলে, সংক্রামক ব্যাধি বা চর্মরোগ থাকা চলবে না। কারণ, অন্যের মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়তে পারে। সিভিল সার্জন থাকলে ভার হতো। আপনারা প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাবেন। আপনি অবশ্যই সরকারি হাসপাতালগুলোতে নিয়মিত যাবেন। ছোটো বেলা থেকেই শুনে আসছি দুনয়ার মজদুর এক হও, এখন কিছুটা হয়েছে। পরিবহণ শ্রমিকদের জন্য বলব, আপনারা কোনো অবৈধ জিনিস পরিবহণ করবেন না। যেমন, গান পাউডার, মাদক, অস্ত্র, দাহ্যবস্তু-যা মানুষের জন্য ক্ষতিকর তা পরিবহণ করবেন না। করলে আপনি, আপনার মালিক, পরিবহণের চালক হেলপার সবাই দায়ী থাকবেন। অবৈধ মাল উঠালে কোনো ভাবেই তাকে সহযোগিতা করবেন। শ্রমিকদের অধিকার যতটা হবার কথা ছিল ততটা হয়নি। তবে বর্তশান সরকার শ্রমিকবান্ধব সরকার, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে সেহেতু আপনারাও এগিয়ে আসবেন। কেউ একজন পিছিয়ে থাকলে উন্নয়ন সার্থক হবে না। আর অবশ্যই শিশু শ্রমিক নিয়োগ করবেন না, ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ দিতে পারবেন না। এটা বেআইনি। ১৪ বছরের পরে হাল্কা কাজে ও ১৮ বছরের পরে যেকোনো কাজে নিয়োগ দিবে পারবেন। আমাদের বাবা-মা যে অবস্থানে ছিলো তার ভালো অবস্থানে আমরা আছি। আর তাই উন্নয়ন এগিয়ে নিতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে, এগিয়ে আসতে হবে। দেশের এই অগ্রযাত্রা কেউ ঠেকাতে পারবে না যদি আপনারা নিজেদের জায়গা থেকে সচেতন হন সহযোগিতা করেন।
এছাড়া, মহান মে দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা অটো রিক্সা জনকল্যাণ সমিতির আয়োজনে এ র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালীটি বারঘোরিয়া দৃষ্টিনন্দন পার্ক থেকে শুরু হয়ে শহরের শান্তিমোড়, বিশ্বরোড মোড়, হানন্দা বাসস্ট্যান্ড, উদয়ন মোড়, বড়ইন্দারা মোড়, বাতেন খার মোড় হয়ে বারঘোরিয়া দৃষ্টিনন্দন পার্কে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে চাঁপাই নবাবগঞ্জ অটো রিক্সা জনকল্যাণ সমিতির সভাপতি রুহুল বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথী হিসেবে বক্তব্য দেন মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আলহাজ্ব এজাবুল হক বুলি। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সমিতির সহ-সভাপতি দুরুল ইসলাম, সেক্রেটারি আতাউর রহমান, সহ-সেক্রেটারি আব্দুর রহিম, কোষাধ্যক্ষ ফারুক, প্রচার সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকসহ অন্যনরা। এ সময় বক্তারা ১ মে তে ঘটে যাওয়া ঘটনা সম্পর্কে আলোচনা করেন ও শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
এদিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা.সামিল উদ্দীন আহমেদ শিমুল বলেছেন একজন শ্রমিকের পক্ষে তাদের নায্যদাবি আদায় করা সম্ভব নয়। প্রতিটি শ্রমিকের নায্য দাবি আদায় করতে হলে সকল শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের এগিয়ে আসতে হবে। তিনি সকল মালিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, যখন কোন শ্রমিক কাজ করে শরীরের ঘাম শুকানোর আগেই তার মজুরি পরিশোধ করতে হবে। আজ বিকেলে মহান মে দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন। শিবগঞ্জ সরকারী মডেল হাই স্কুল মাঠে রায়হান আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শিবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র কারিবুল হক রাজিন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া, নারী ভাইস চেয়ারম্যান শিউলী বেগমসহ অন্যরা।
অন্যদিকে, মহান মে দিবস উপলক্ষে গোমস্তাপুর উপজেলা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন আয়োজিত র‌্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। রহনপুর পুরাতন বাজার তুলা পট্টী থেকে একটি র‌্যালি রহনপুর পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আব্দুল হালিম। প্রধান অতিথি ছিলেন, সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমান। বক্তব্য দেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুননেসা বাবলিসহ অন্যরা। সভা শেষে শ্রমিকদের কল্যাণে ও দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে দোয়া করা হয়।
অপরদিকে, নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজনে মহান মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আজ বিকেলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন, স্বাধীন সাহিত্য পরিষদের সম্পাদক এনামুল হক তুফান, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক মিথুনসহ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ। পরে শিল্পী জুয়েলবাবুর একক সংগীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।