জেলায় যথাযথ মর্যদায় পালিত হচ্ছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস

43

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নানান কর্মসূচির মধ্যদিয়ে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। আজ প্রত্যুষে পুরাতন স্টেডিয়ামে ৩১ বার তোপধ্বনীর মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২২ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত শহিদ বীরমুক্তিযোদ্ধাগণের পরিবার, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, ও বীরমুক্তিযোদ্ধাগণের সম্মানে সংবর্ধনা ও আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য ফেরদৌসী ইসলাম জেসি, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেবেন্দ্রনাথ ওরাঁও, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুব আলম খান বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সদর উপজেলার চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডঃ আব্দুস সামাদ এবং পৌর মেয়র মোখলেসুর রহমান। পবিত্র কোরআন তেলোয়াত ও গীতাপাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ফুল দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারদের সংবর্ধনা জানান। প্রথমেই স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেবেন্দ্রনাথ ওরাঁও। এসময় তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা তাদের জীবনের কথা চিন্তা না করে এই দেশকে স্বাধীন করেছে। নেতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে বেশী করে জানতে হবে। দেশ প্রেম জাগাতে হবে।  বীরমুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন তার বক্তব্যে বলেন, যার জন্ম না হলে এই দেশ স্বাধীন হতো না তিনি হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমাদের সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। যেমন আমরা ১৯৭১ সালে যুদ্ধে এক হয়ে এ দেশ স্বাধীন করেছি তেমনি এখনো আমাদের এক হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। ভুল বোঝাবুঝি হলে আমরা নিজেরাই সংশোধন করে কাজ করবো। তিনি জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের যদি কোন সমস্যা হয় তার কাছে গেলে তিনি যেন সমস্যাগুলো শুনে সাথে সাথে সমাধান করার চেষ্টা করবেন।

 বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যাডঃ আব্দুস সামাদ এসময় সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে তারা বলেন সোনার দেশে সোনার মানুষ গড়ে তুলতে হবে। যদি কেউ মুক্তিযুদ্ধ বা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বা ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করে তাহলে আমরা তাদের কাউকে ছাড় দিবো না। উন্নত দেশে আমরা পৌঁছাবো আমাদের নেতৃকে সুযোগ দিতে হবে আমরা যদি সুযোগ না দিই তাহলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা স্বপ্ন গড়তে পারবো না। আমাদের একসাথে এক হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুব আলম খান বলেন, আপনাদের জন্য আমরা একটি স্বাধীন ভ’মি পেয়েছি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ দেশ স্বাধীন করেছেন। আপনাদের কথা কিংবা যদি আমরা সংরক্ষণ করতে পারি তাহলে আরো ভালো হবে। একটি ইউটিউব চ্যানেলে আপনাদের কথা বা গল্পগুলো ধারন করে আমরা রাখতে পারি বা প্রচার করতে পারি তাহলে যুগের পর যুগ এগুলো টিকে থাকবে এবং নতুন প্রজন্মদের দেশ প্রেম জাগবে। আপনারা স্বাধীনতা সংগ্রামের যুদ্ধ করে এই দেশ তৈরী করেছেন এখন আমাদের উচিৎ এই দেশকে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে উন্নতি করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ করা। পৌর মেয়র মোখলেশুর রহমান বলেন, আপনাদের সমস্যা বা আপনাদের অধিকার থেকে কেউ বঞ্চিত করলে আমি একজন সাধারন মেয়র হিসেবে বলছি আমি আমার দিক থেকে আপনাদের সহযোগীতা করার চেষ্টা করবো।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌসী ইসলাম জেসি বলেন, আপনাদের দেখলে আমার বাবার কথা মনে পড়ে যায়। আপনারা যুদ্ধ করে এই দেশকে স্বাধীন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি নির্যাতিত নারী এবং বীরঙ্গনা নারীদের প্রধানমন্ত্রী সকলকে সহযোগীতা করছেন। আমি চাইবো আমরা এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সকলে একসাথে কাজ করবো।

সমাপনি এবং সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এ.কে.এম গালিভ খান বলেন প্রশাসনের দিক থেকে সব রকম সুবিধা তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের দিবেন। তিনি এসময় বলেন প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধা একেকজন জীবন্ত কিংবদন্তী। আমি আমার সকল ডিপার্টমেন্ট সকল কর্মচারীদের বলবো যেখানেই মুক্তিযোদ্ধারা যাবেন সেখানে যেন আপনাদের কাজটি সহজে হয় এবং মনোযোগ দিয়ে আপনাদের সমস্যার সমাধান দ্রুত করতে। প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশনা দিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা বা সাধারন মানুষ আসলে তাদের যেন সহযোগীতা করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর পথ ধরেই আমি মুক্তিযুদ্ধর চেতনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের হাতে উপহার তুলে দেন আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।

পরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের উন্নয়ন বিষয়ক আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরের বঙ্গবন্ধু মঞ্চে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌসী ইসলাম জেসি।

নামোশংকরবাটি কলেজের সহকারি অধ্যাপক গোলাম ফারুক মিথুন ও আফরিন সুলতানা নিতুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার এ এইচ এম আব্দুর রকিব বিপিএম পিপিএম (বার), বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন, এ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ-সহ অন্যরা।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাকিউল ইসলাম (সার্বিক)। অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে অনুুষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে, যথাযোগ্য মর্যাদায় বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে শিবগঞ্জে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসটির সূচনা করেন। একই সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি ভবনে উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা। আজ ভোরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে অস্থায়ী শহীদ মিনার ও মুজিব মুর‌্যালে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাকিব আল-রাব্বি, উপজেলা পরিষর চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বজলার রশিদ সনু, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফা সুলতানা, শিবগঞ্জ থানার ওসি চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম, সমাজসেবা কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার দাস, ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শিউলি বেগম পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এছাড়াও উপজেলা পর্যায়ের বিভাগীয় প্রধান, কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় রাজনৈতিক দল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী এবং সাংস্কৃতিক গোষ্ঠির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। শেষে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়। এরপর শিবগঞ্জ স্টেডিয়াম মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সংগঠনের অভিবাদন প্রহণ ও কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের প্রতি সংবর্ধনা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ দোয়া ও বিশেষ প্রার্থনা। অন্যদিকে, উপজেলা প্রশাসন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন পরিষদ ও রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক আলোচনা সভা, র‌্যালি, চিত্রাঙ্কন, দেশাত্মবোধক সংগীত ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

অন্যদিকে, নাচোলে উপজেলা প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৫২তম মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে নাচোল থানা পুলিশ প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপনের সূচনা করা হয়। আজ সূর্যোদয়ের সাথে সাথে নাচোল সরকারি কলেজ মাঠে অবস্থিত স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, ১ মিনিট নীরবতা পালন ও শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। প্রথমে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ আহম্মেদ এবং পরিষদের পক্ষ থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া নাচোল থানা পুলিশ ও মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এদিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল ৮ টায় উপজেলা পরিষদ মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সমাবেশ জাতীয় সংগীত পরিবেশন, কুচকাওয়াজ এবং ডিসপ্লে প্রদর্শিত হয়।

এদিন, উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান এবং আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। হাসপাতাল ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। সকল মসজিদে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

গোমস্তাপুরে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা খাতুন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাংসদ জিয়াউর রহমান ও গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস, উপজেলা চেয়ারম্যান হুমায়ুন রেজা, রহনপুর পৌর মেয়র মতিউর রহমান খান, গোমস্তাপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামছুল আজম, গোমস্তাপুর থানার ওসি (তদন্ত) সেলিম রেজা, রহনপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আসগর আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ।

এছাড়াও ভোলাহাটে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। আজ সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ৩১ বার তপোধ্বনির মধ্যে দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর সূর্যোদয়ের সাথে সাথে উপজেলা পরিষদ সমুন্নত স্মৃতিসৌধে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাব্বুল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুম পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর একে একে পুলিশ প্রশাসন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, ডিপ্লোমা কৃষি ইনসটিটিউট, সাব-রেজিষ্টার অফিস, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণীর মানুষ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এদিকে, সকাল ৮টায় ভোলাহাট রামেশ^র হাই স্কুল মাঠে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কুচকাওয়াজ শুরু হয়। এরপর একই স্থানে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা এবং হাসপাতাল, সরকারি শিশু পরিবার ও ভবঘুরে পরিবারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনা সভার ও পুরুষ্কার বিতরণের মধ্যদিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচীর সমাপ্ত হয়।