জেলার সব্জি বাজারে স্বস্তি; বেড়েছে ব্রয়লার ও সোনালী মুরগির দাম

109

শীতের শুরু থেকেই ব্যস্ত কৃষক সবজি চাষে। আর তাই এখন বাজার ভরা শীতকালীন নানান ধরনের শাকসবজিতে। এদিকে, নিউমার্কেট বাজারঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে শাক-সব্জির দাম রয়েছে ক্রেতার হাতের নাগালের মধ্যে।
আজ বছরের শেষ সাপ্তাহিক ছুটির সকালে জেলার নিউমার্কেট বাজারে শীতকালীন সব্জিতে ভরে গেছে পুরো বাজার; তবে ক্রেতাদের আনাগোনা লক্ষ করা গেছে বেশ কম। বাজারে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, এই সপ্তাহেও প্রায় সকল নিত্যপণ্যই গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছু কিছু পণের দাম অল্প কমেছে। সব্জি বিক্রেতারা বলছেন, গত সপ্তাহের তুলনায় এসপ্তাহে ব্যপক হারে কমেছে সকল শাক-সব্জির দাম। সবজি বিক্রেতা বাদশা জানান, গত সপ্তাহে শশার দাম ছিলো ৬০ টাকা এ সপ্তাহে তা কমে বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা, টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, করল্লার দাম ৮০ টাকা কেজি, গাজরের দাম ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি, বাধাকপি-ফুলকপি ১০-১৫ টাকা কেজি, পেঁয়াজের লাইল ৫ থেকে ১০ টাকা আঁটি। গত সপ্তাহে নতুন আলু ছিলো ৫০ টাকা কেজি, এ সপ্তাহে ২৫-৩০ টাকা কেজি, ঘিয়ন বেগুন ৩৫-৪০ টাকা কেজি, পটল ১৬০ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ কেজি প্রতি ৬০ টাকা, ধনে পাতা ১০-২০ টাকা কেজি, মটরশুটি গত সপ্তাহে ছিলো ১২০ টাকা কেজি, দাম কমে এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি। সজনে ১২০ টাকা কেজি, আর দেশি লেবু গত সপ্তাহে ছিলো ২০ টাকা হালি, এ সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ২৫ টাকা হালি দরে।

নিউমার্কেটের মুদি বিক্রেতা জিয়াউর রহমান জানান, মুদি বাজারে প্রায় সবধরনের নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম এখনও অপরিবর্তিতই রয়েছে। এসপ্তাহে মুদিপণ্যের মধ্যে- আঠাশ চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা কেজি, ভালোটা ৬৫ টাকা কেজি। ২৯ আর ৩৬ চাল ৫৮ টাকা কেজি, মোটা চাল ৪৮ টাকা কেজি, নতুন আতপ চাল ১৩০ টাকা ও পুরাতন আতপ চাল ১৪০-১৫০ টাকা কেজি । চিনি ১১০ টাকা কেজি, মুসরের ডাল ১০০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৩০ টাকা, রসুন ১০০-১১০, আদা ৮০-১০০ টাকা কেজি, প্রতি হালি ডিম ৩৫ টাকা, সয়াবিন তেল ১৮৫ টাকা কেজি এবং গত সপ্তাহের স্বাভাবিক দামেই বিক্রি হচ্ছে অন্যান্য সব মুদি পণ্য।
এদিকে, মাছ বাজারে মাছ বিক্রেতা মুকুল ও আয়াতুল্লাহ জানিয়েছেন, আমদানী কম থাকায় গত সপ্তাহের দামেই এই সপ্তাহেও বিক্রি হয়েছে সকল ধরনের মাছ এবং এই সপ্তাহে কাস্টমারও নেই। সকল মাছের দাম কমেছে কেজিতে ১৫-২০ টাকা। তারা জানান, ২ কেজি ওজনের রুই বিক্রি করছি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, ২ কেজি চিতল ২৬০ টাকা কেজি দরে, ১-সোয়া কেজি ওজনের মিরকা ১৭০-১৭৫ টাকা কেজি দরে, চিংড়ি ৬৫০-৭০০ টাকা, আর দেড় কেজি ইলিশ মাছের দাম কেজি প্রতি ১০০ টাকা করে কমে ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি; বরং অন্য মাছের দাম এ সপ্তাহে ১০ থেকে ২০ টাকা করে কম রয়েছে।
অন্যদিকে, মাংসের খুচরা বাজারে গরু ও খাসির মাংসের বাজারও ছিল স্বাভাবিক। নিউ-মার্কেটের মাংস বিক্রেতা মাসুদ রানা জানান, গরুর মাংস ৬৫০ টাকা ও খাসির মাংস ৭৫০-৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে, মুরগি বিক্রেতা রুবেল জানান, মুরগির বাজারে অন্যান্য মুরগির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও; পুরাতন বছরের শেষ আর নতুন বছরের শুরুর এই সময়ে পিকনিক আর উৎসবের জন্য, বাজারে কেজি প্রতি ১০ টাকা করে বেড়ে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা কেজি দরে এবং সোনালী বিক্রি হয়েছে ২২০-২৩০ টাকা কেজি দরে। আর বেচাবিক্রি ভালো আছে। সেই সাথে প্যারেন্স মুরগি ১৯০-২০০ টাকা কেজি, সাদা লেয়ার মুরগি ১৯০-২০০ টাকা কেজি, লাল লেয়ার মুরগি ২২০-২৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে এসপ্তাহের বাজার দর নিয়ে ক্রেতাদের সাথে কথা হলে তারা জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় আজকে বাজার স্বাভাবিক রয়েছে ।