জেলার মাছ, সবজি ও মুদি বাজার উর্দ্ধমুখী

112

আজ শুক্রবার ছুটির দিন। জেলার মাছ বাজারগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মতোই আমদানি কম থাকায় প্রায় সবধরনের মাছের দাম বাড়তি। তবে সবজি বাজারে বেড়েছে ফুলকপি ও আলুর দাম। মুদি বাজারে তেল ও পেঁয়াজের দাম হাতের নাগালের বাইরে। সয়াবিন তেলের দাম কেজি প্রতি ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। অন্যদিকে, গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাংস।
আজ সকালে নিউমার্কেট মাছ বাজার গিয়ে দেখা যায়, মাছের আমদানী কম থাকায় মাছের দাম কেজি প্রতি ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মাছ বিক্রেতা নাজমুল ইসলাম বলেন, আমদানি কম যেমন তেমন ক্রেতাদের সংখ্যাও কম যার কারণে মাছের দাম বাড়তি। চাষের বড় চিংড়ি ৮০০ টাকা কেজি, নদীর ছোট চিংড়ি ১০০০ টাকা কেজি, বাটা মাচ ১৮০ টাকা কেজি, পাবদা ৪০০ টাকা কেজি, দেশি ট্যাংরা ১৫০ টাকা পোয়া, তেলাপিয়া ১৮০ টাকা কেজি, রুই মাছ ২৪০ টাকা কেজি, রহলা মাছ ২৮০ টাকা কেজি। আইখোড় ৪৮০ টাকা কেজি, শৈল ৫২০ টাকা কেজি, নদীর কাঁচকি ৮০০টাকা কেজি, বাসোট ১০০০ টাকা কেজি।
এদিকে, গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাংস। মাংস বাজারে গরুর মাংস ৬০০-৬২০ টাকা কেজি এবং খাসির ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে, মুরগি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সবধরনের মুরগির দাম কেজি প্রতি ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্যারেন্স ২৮০-২৯০ টাকা কেজি, লেয়ার ২৪০-২৫০টাকা কেজি, সোনালী ২৫০টাকা কেজি, ব্রয়লার ১৫০-১৬০ টাকা কেজি, দেশি মুরগি ৪৫০ টাকা কেজি।
তবে ভিন্ন চিত্র ছিল সবজি বাজারে। ক্রেতার সমাগম কম থাকলেও আমদানী কম থাকায় বেড়েছে আলু ফুলকপিসহ বেশ কিছু সবজির দাম-বলছিলেন নিউমার্কেট বাজারের সবজি বিক্রেতা বাদশা। গত সপ্তাহে ফুলকপি ছিল ৩০-৩৫ টাকা কেজি দাম বেড়ে আজ ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। করলা ১৬০ টাকা কেজি, শিম ৫০ টাকা কেজি, ঢ়েড়স ১৪০ টাকা কেজি, পটল ১৪০ টাকা কেজি, বরবটি ১২০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা কেজি, ব্রকলি ৩০ টাকা থেকে দাম বেড়ে ৫০ টাকা কেজি, লতি ৮০ টাকা কেজি, ইসকস ৪০ টাকা কেজি, ছোট মটরশুটি ৮০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহে আলুর দাম ছিল ১৫ টাকা কেজি এই ১৮-২০ টাকা কেজি, কাঁচামরিচ ৫০ টাকা কেজি ও লাউয়ের দাম প্রতি পিস ৫০ টাকা করে।
মুদিবাজারে আবারো বেড়েছে সয়াবিন ও পেঁয়াজের দাম। মুদি বিক্রেতা জিয়াউর রহমান জানান, কেজি প্রতি ২০ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজ ও সয়াবিন তেলের দাম বলছিলেন মুদি বিক্রেতা জিয়াউর রহমান। তিনি আরো জানান, আটাশ চাল ৫৩-৫৫ টাকা কেজি, সয়াবিন তেল ১৮৪ টাকা কেজি, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৪৫-৫০ টাকা কেজি, দেশি পেঁয়াজ ৫৫-৬০ টাকা কেজি, চিনি ৭৮ টাকা কেজি, ডিম ৩৫ টাকা হালি, রসুন ১০০-১১০ টাকা কেজি, আদা ৫০-৬০ টাকা কেজি।
শীত শেষ হলেও এখনো বাজারগুলোতে শীতকালীন ফলের দেখা মিলছে। ফল বিক্রেতা সোহেল রানা বলেন, গত সপ্তাহের দামেই এই সপ্তাহে ফল বিক্রি হচ্ছে। সোলাপুরের আঙ্গুর ১৮০ টাকা কেজি, নাসিকেট আঙ্গুর ১৬০ টাকা কেজি, আপেল ১৫০ টাকা কেজি, সাউথ আফ্রিকার কমলা ২০০ টাকা কেজি,বেদানা ৩০০ টাকা কেজি, আনারস ৩০ টাকা কেজি।