আজ শুক্রবার জেলার নিউমার্কেট বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কাঁচামরিচ কেজি প্রতি ৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি দরে সেই সাথে বেড়েছে পটল, বাঁধাকপি, ফুলকপির দাম। অপরদিকে মাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায় বাজারে নেই শিলভর কার্প, বোয়াল, তেলাপিয়া মাছ। আমদানি কম থাকায় বেড়েছে ইলিশের দাম, সেই সাথে বেড়েছে মুরগির দাম। এদিকে, মুদি বাজারে বেড়েছে চালের দাম কমেছে পেঁয়াজ ও ডিমের দাম এবং গরু ও খাসির মাংস গত সপ্তাহের দামেই (গরু মাংস ৫০০-৫৫০ এবং খাসির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা কেজি দরে) বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম ও রশিদ বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় কিছু কিছু সবজির দাম বেড়েছে আর কিছু সবজির দাম কমেছে। পটলের দাম বেড়ে হয়েছে ৫০ টাকা কেজি, বাধাকপির দাম বেড়ে হয়েছে ২০ টাকা কেজি, ফুলকপি ১২ থেকে বেড়ে ২০ টাকা কেজি, কাঁচামরিচ গত সপ্তাহে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি দরে। এদিকে, মটর শুটির দাম কমেছে গত সপ্তাহে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা কেজি দরে। গাছ পাকা টমেটো এখনো বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে। দেশি টমেটো ৪০ টাকা কেজি। দেশী শসা ৫০ টাকা কেজি, ঘিয়ন বেগুন ৩৫ টাকা কেজি, সজিনা ডাটা ১৮০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহে নতুন আলু বিক্রি করেছি ৬০ টাকা কেজি আর আজ বিক্রি করছি ৫০ টাকা কেজি, করোলা ৬০ টাকা কেজি, পেঁয়াজের লালি ২০ টাকা কেজি। সবজির দাম বাড়ার কারণ হিসেবে তারা জানান, কিছুদিন কুয়াশার জন্য সবজির দাম বেড়েছে তবে আবহাওয়া অনকুল হলেই সবজির দাম কমে যাবে।
মাছ বাজারে মাছ বিক্রেতা সাবের আলী, মুকুল রহমান ও শুকুরউদ্দিন বলেন, কিছু দিন থেকেই ইলিশের আমদানি কম হচ্ছে তাই ইলিশের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ বাজারে কেজির ইলিশ ১০০০ টাকা কেজি যা গত সপ্তাহে ছিলো ৮৫০ থেকে ৯৫০ টাকা কেজি। তবে ইলিশের দাম বাড়লেও অন্যান্য মাছের দাম কম। আজ বাজারে দুই থেকে তিন কেজির কাতোল ২৩০-২৫০ টাকা কেজি, ১কেজির রুই ২০০ টাকা কেজি, পিয়োলি ৫০০ টাকা কেজি, বিলেন ট্যাংড়া ৫০০-৫২০ টাকা কেজি দের বিক্রি হচ্ছে। তারা আরো বলেন কিছু দিন থেকে মাছের আমদানি কম হচ্ছে এবং আজ বাজারে, শিলভর কার্প, বোয়াল, তেলাপিয় মাছ আসেনি। এছাড়াও বলেন মাছ চাষিরা মাছ বেচে তেমন লাভোবান হচ্ছে না, পুকুর থেকে মাছের আমদনি কম এবং বাজারে ক্রেতার সংখ্যাও কম থাকায় বর্তমানে মাছের ব্যবসা আগের মত হচ্ছে না।
এদিকে, মুরগি বাজারে মুরগি বাজারের বিক্রেতা রুবেল ও সেলিম বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় ক্রেতার সংখ্যা বেশি এবং মুরগির আমদনি কম থাকায় দাম মুরগির বাড়তি। ব্রয়লার কেজি প্রতি ৫ টাকা করে বেড়ে ১১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লেয়ার ১৫০ থেকে বেড়ে ১৬০ টাকা কেজি, প্যারেন্স ১৫৫ থেকে বেড়ে ১৬০ টাকা কেজি, সোনালী ১৫০-১৬০ টাকা কেজি , পাকিস্তানি ১৬০ টাকা কেজি, দেশী মুরগি হচ্ছে ৩২০-৩৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুদি বাজারে বিক্রেতা সাদিরুল ইসলাম ও মাসুম জহির বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে খোলা সয়াবিন তেল, রসুন ও চালের দাম,কমেছে পেঁয়াজ ও ডিমের দাম। ডিম বর্তমানে ৩০ থেকে কমে ২৭ টাকা হালি, দেশী পেঁয়াজ ৫০ থেকে কমে ৪০-৪৫ টাকা কেজি, বিদেশী পেঁয়াজ ২৮-৩০ টাকা কেজি, আদা ৮০ টাকা কেজি, রসুন ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি, খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে হয়েছে ১১৫ টাকা কেজি, মোটা চাল ৪২-৪৪ থেকে বেড়ে ৪৫ টাকা কেজি, আটাস ৫০-৫২ থেকে বেড়ে ৫২-৫৪ টাকা কেজি, মিনিকেট ৫৪-৫৬ থেকে বেড়ে ৫৬-৫৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
