জেলার বাজারে চালের দাম, ঈদকে সামনে রেখে উর্ধ্বমুখী হতে পারে গরু ও খাসির মাংসের দাম

100
Exif_JPEG_420

আজ ছুটির দিন, সকালে হঠাৎ মেঘ সাথে গুঁড়ি গুঁড়ি হালকা বৃষ্টি। জেলার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্ষাকালীন সবজীর সমাহার। ডালিতে থোরে থোরে সাজানো রয়েছে, পটল, কাকরোল, কচু, কলা ডাটাসহ অন্যান্য সবজি। সবজি বাজারে বর্ষাকালীন সবজিতে পড়েনি দামের প্রভাব। গত সপ্তাহের তুলনায় উঠা নামা করেনি সবজির দাম। বিক্রেতারা বলছেন, বর্ষা মৌসুম হওয়ায় কাঁচা কলা, পটল এবং কচুর চাষ ও আমদানি দুটোই বেশী। সবজি বিক্রেতা আব্দুর রশীদ জানান, ২-১ টা সবজীর দাম ছাড়া অন্যান্য সবজীর দাম প্রায় একই রয়েছে। শসার দাম ১০ টাকা বেড়ে এই সপ্তাহে হয়েছে ৭০ টাকা কেজি, পটল ৩০ থেকে বেড়ে ৩৫-৪০ টাকা কেজি। তাছাড়া অন্যান্য সবজী গত সপ্তাহের মতোই আছে। তবে বেগুন ১০ টাকা কমে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ঝিঙ্গা, ঢেঁড়স পেঁপে কাঁচা কলা মিষ্টি কুমড়া গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতা আরো জানান বর্ষা মৌসুমে কাঁচা কলা পটল আর কচু এগুলো আমদানি বেশী হয়। পুরাতন বাজারে কাঁচা কলা ১২শ টাকা মণ, পটল ১১শ ২০ টাকা মণ এবং কচু ১২শ টাকা মণ করে বিক্রি হয়।
এদিকে, মুরগী বাজারে ব্রয়লার মুরগীর দাম কমেছে এবং অন্যান্য মুরগীর দাম অপরিবর্তীত আছে। নিউমার্কেটের মুরগী বিক্রেতা সেলিম রেজা জানান, দেশী মুরগী ৩৬০ থেকে ৩৭০ টাকা কেজি, ব্রয়লার মুরগী ১৪০ টাকা কেজি, প্যারেন্টস মুরগী ২০০ টাকা, লাল লেয়ার ২৩০ টাকা সোনালি মুরগী ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পাতিহাঁস ৩০০ টাকা পিস এবং রাজহাঁস ১২শ থেকে ১৪শ টাকা পিস। মাছবাজারে বড় মাছের দাম কিছুটা বেশী হলেও এই সপ্তাহে ছোট মাছের দাম কমেছে। মাছ বিক্রেতা জয়নাল আবেদীন জানান, বড় মাছ মিরকা ১৬০ টাকা কেজি, রুইও কাতল ২০০ টাকা কেজি। তবে বিক্রেতারা বলছেন ক্রেতার সংখ্যা কম হওয়ায় মাছের দাম কিছুটা কম। অন্যদিকে ছোট মাছের দাম স্বাভাবিক আছে।
অন্যদিকে, গরু খাসির মাংসের দামেও হয়নি উঠা নামা। গত সপ্তাহের মতো সাড়ে ৫শ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। তবে কুরবানি ঈদে দাম বাড়তে পারে বলে জানান মাংস বিক্রেতা মাসুদ রানা। তিনি আরো জানান, কুরবানির কারণে বর্তমানে গরুর দাম বেশী তারপরও কুরবানিকে মোকাবেলা করে গরু কিনে মাংস বিক্রি করছি যদিও ক্রেতা তেমন থাকে না। ঈদকে সামনে রেখে সামনে আরো দাম বৃদ্ধি পেতে পারে বলে তিনি জানান। মুদি বিক্রেতা রুহুল আমিন বলেন, মুদি বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য যেমন চাল, আদা এবং ডিমের দাম বেড়েছে। ডিম ৩২ থেকে ৩৪ টাকা হালি, সবধরনের চাল আটাশ ৪৮ টাকা থেকে ৫০ -৫২ কেজি, মিনিকেট ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা, আদার দাম ৮০-৮৫ থেকে ১১০ ১২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে বিক্রেতা জানান ঈদকে সামনে রেখে দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা তেমনটা নাই।
এদিকে, বিক্রেতারা সবজীর দাম কম বললেও বাজার করতে আসা ক্রেতারা জানান এই সপ্তাহে সবজী মাছের দাম কিছুটা বৃদ্ধি রয়েছে। বাজার ঘুরে বিক্রেতারা আশংকা করছেন, লকডাউন এবং পরিবহন পন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় সবকিছুর দাম আরো বাড়তে পারে।