জেলাপর্যায়ে ফুড ফর্টিফিকেশন বিষয়ে প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলাপর্যায়ে দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি পরিকল্পনা এবং বার্ষিক পুষ্টি কর্মপরিকল্পনায় ফুড ফর্টিফিকেশন অন্তর্ভুক্তকরণ বিষয়ক প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার ‘গেইন’র সহযোগিতায় বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদ কার্যালয় (বিএনএনসি) এই কর্মশালার আয়োজন করে। বেলা ১১টা থেকে সিভিল সার্জনের সম্মেলন কক্ষে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন— বাংলাদেশ পুষ্টি পরিষদ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। সূচনা বক্তব্য দেন— জেলা পুষ্টি সমন্বয়ক কমিটির সদস্য সচিব সিভিল সার্জন ডা. এ. কে.এম. শাহাব উদ্দীন।
জেলা ও উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির কর্মপরিকল্পনায় খাদ্য সমৃদ্ধকরণ ও অন্তর্ভুক্তকরণ বিষয়ক গ্রুপ ওয়ার্ক নিয়ে আলোচনা করেন বাংলাদেশ পুষ্টি পরিষদ কার্যালয়ের উপপরিচালক ডা. আকতার ইমাম এবং প্রজেক্ট বাংলাদেশ পুষ্টি পরিষদ কার্যালয়ের উপপরিচালক কোঅর্ডিনেটর লাইলুন নাহার। খাদ্য সমৃদ্ধকরণ বিষয় উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ পুষ্টি পরিষদ কার্যালয়ের উপপরিচালক ডা. নূসরাত জাহান মিথেন।
অপুষ্টি নিরসনে বৈশ্বিক এজেন্ডা অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিসমূহ তুলে ধরেন বাংলাদেশ পুষ্টি পরিষদের উপপরিচালক ডা. ফারজানা রহমান এবং প্রশিক্ষণের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন আরেক উপপরিচালক ডা. নুসরাত জাহান। কর্মশালা সঞ্চালনা করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা চৌধুরী আব্দুল্লাহ আস শামস তিলক।
এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার খাদ্য নিরাপত্তা এবং জনগণের পুষ্টির মান উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে বক্তারা উল্লেখ করেন। কর্মশালায় খাদ্য ফর্টিফিকেশনের গুরুত্ব, পদ্ধতি এবং বাস্তবায়ন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
বক্তারা বলেন— একটি সুস্থ সবল জতি গঠনে ফর্টিফাইড খাদ্যের গুরুত্ব অপরিসীম।
এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারের ২২টি মন্ত্রণালয়কে একযোগে কাজ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ।
কর্মশালায় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপরিাচলক ড. ইয়াছিন আলী, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফাসহ জেলা পুষ্টি কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।