জিদান রিয়াল মাদ্রিদ নিয়ে ঈর্ষায় ক্ষুব্ধ

192

ইউভেন্তুসের বিপক্ষে ম্যাচে রেফারির ভূমিকা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনায় ক্ষুদ্ধ রিয়াল মাদ্রিদ কোচ। জিনেদিন জিদানের দাবি, বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের সাফল্যে ঈর্ষান্বিতরাই কেবল বলছেন, ভাগ্যের জোরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে পৌঁছেছে তার দল। বুধবার সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের নির্ধারিত সময় পর্যন্ত দুই লেগ মিলিয়ে ৩-৩ গোলে সমতা থাকলেও যোগ করা সময়ে পাওয়া পেনাল্টি থেকে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো গোল এনে দেন স্বাগতিকদের। ৪-৩ গোলের অগ্রগামিতায় সেমি-ফাইনালে পৌঁছে জিনেদিন জিদানের দল। যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে ইউভেন্তুস ডিফেন্ডার বেনাতিয়া রিয়াল উইঙ্গার লুকাস ভাসকেসকে ডি-বক্সে ফাউল করলে পেনাল্টিটি পায় রিয়াল মাদ্রিদ। স্প্যানিশ গণমাধ্যমে রেফারি মাইকেল অলিভারের ওই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করা হয়। তবে ভাসকেস ও রেফারির সমালোচনা করে ইটালিয়ান গণমাধ্যমসহ অনেকেই। লা লিগায় মালাগার বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন শনিবার সংবাদ সম্মেলনেও এ নিয়ে কথা বলতে হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের কোচ জিদানকে। “মাদ্রিদের বিরোধীরা আছে, আমরা তা বদলাতে পারব না। আমরা শুধু নিজেদের কাজটা করে যেতে পারি।” “কেউ এই ক্লাবের ইতিহাস বদলাতে পারবে না। কি লেখা বা বলা হলো তাতে কিছু যায় আসে না। এটা পৃথিবীর সেরা ক্লাব। যখন আপনি সেরা হবেন, তা ঈর্ষা তৈরি করবে।” “সবাই তাদের ইচ্ছেমতো সিদ্ধান্ত দিতে পারে যে এটা পেনাল্টি ছিল কিনা। আমি রেগে যাই যখন তারা একে ডাকাতি বলে। আমি আমার নিজের খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়াব। আমরা পরের পর্বে যাওয়ার যোগ্য দল ছিলাম।”  “কথা বলা মানুষের জন্য স্বাভাবিক। কিন্তু তারা যখন একে ডাকাতি বলে তা আমি বুঝি না। অসাধারণ খেলেছে ইউভেন্তুস কিন্তু পরের পর্বে যাওয়াটা আমাদের প্রাপ্য ছিল। আমরা সেমি-ফাইনালে পৌঁছেছি। একই বিষয়ে তিনদিন কথা বলাটা বাড়াবাড়ি হচ্ছে।” “আমরা রেফারির জন্য সেমি-ফাইনালে পৌঁছেছি – এমনটা বলায় আমি হতাশ। আমরা পেনাল্টিটি নিয়ে কথা বলতে পারি। আমার কাছে এটা ঠিক; অন্যান্যের কাছে না। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না যে তারা বলছে, আমরা রেফারির বদন্যতায় পার হয়েছি আর এটা ডাকাতি ছিল। এটা সত্য না।”