জাতীয় ভিটামিন ‘এ’প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত

185

জাতীয় ভিটামিন ‘এ’প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. এসএফএম খায়রুল আতাতুর্ক, ইউনিসেফের জামালপুর জেলা সমন্বয়কারী জাকির হোসেন, সিনিয়র শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শামসুন্নাহার, ইপিআই কর্মকর্তা আমিরুল মোমেনিন জীবনসহ জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। সিভিল সার্জন সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, ৪ টি কারণে বাচ্চাদের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়ে থাকে।  যে ৪টি কারণে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হয় তা হলো- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, রাতকানা রোগ প্রতিরোধ, বামনত্ব রোধ এবং ডায়রিয়ার স্থায়ীত্ব কমায়। এর আগেরবার যে ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছিল তা একটার সাথে একটা লেগে যাচ্ছিল। এবার যে ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে তা বাংলাদেশে তৈরি গেøাব মেডিসিন। চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমরা বিগত সময়ে শতভাগ ক্যাম্পেইন সফল করেছি। আপনারা সহযোগিতা করবেন, দেখবেন যাতে কর্মীরা ঠিকমত বাচ্চাদের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর পূর্বে কাঁচি দিয়ে কাটে এবং খাওয়ায়। উল্লেখ্য, আগামী ২২ জুন শনিবার এই ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। এইদিন  জেলার ৫ উপজেলার ২ লাখ ৫ হাজার ৫৭৮ জন ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ২৪ হাজার ৬২৪ জন শিশুকে নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ১ লাখ ৮০ হাজার ৯৫৪ জন শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। জেলায় ১ হাজার ২০১টি টিকাদান কেন্দ্রে ২ হাজার ৮২৯ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক শিশুদের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর দায়িত্ব পালন করবেন। সভা শেষে সিভিল সার্জন ডা. এসএফএম খায়রুল আতাতুর্ক জানান, আগামী ২০ জুন পদোন্নতি ও বদলি হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপপরিচালক পদে যোগদান করবেন এবং সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।