জয়াসুরিয়ার ঘূর্ণিতে বিধ্বস্ত নিউজিল্যান্ড
শ্রীলঙ্কা ও জয়ের মধ্যে ব্যবধান হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন রাচিন রবীন্দ্র। কিন্তু আজ তার লড়াই থেমে গেল দ্রুতই। নিউজিল্যান্ডের আশার আলো নিভলো তখনই। ঘূর্ণিজাদুতে আরও এক উইকেট তুলে নিয়ে বাকি কাজ সেরে ফেললেন প্রবাত জয়াসুরিয়া। আর তাতে কিউইদের দারুণ এক জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা। দারুণ বোলিং প্রদর্শনীতে গল টেস্টে ৬৩ রানের জয় তুলে নিয়েছে লঙ্কানরা। পঞ্চম ও শেষ দিনে কিউইদের দরকার ছিল আরও ৬৮ রান, হাতে ছিল ২ উইকেট। কিন্তু মাত্র ৪ রান তুলতেই সেই ২ উইকেট উইকেট হারালো তারা। প্রথমে রবীন্দ্রকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলার পর উইলিয়াম ও’রুর্ককে বোল্ড করেন জয়াসুরিয়া। সবসমিলিয়ে শেষ দিনে সফরকারীরা টিকতে পারল মাত্র ১৬ মিনিট ও ২২ বল। এই টেস্টের শুরুতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩০৫ রান তুলেছিল শ্রীলঙ্কা। সেঞ্চুরি করেছিলেন দলটির ব্যাটার কামিন্দু মেন্ডিস। জবাবে তিন ব্যাটারের ফিফটিতে ৩৫ রানের লিড নেয় নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০৯ রানে অলআউট হয়ে শ্রীলঙ্কা লক্ষ্য দেয় ২৭৫ রান। বল হাতে কিউই স্পিনার এজাজ প্যাটেল নেন ৬ উইকেট। লক্ষ্যটা ছোট মনে হলেও জয়াসুরিয়া তার পাহাড়সম বানিয়ে দেন। নিউজিল্যান্ডের শেষ ভরসা হিসেবে ছিলেন রবীন্দ্র। কিন্তু আজ তিনি থেমেছেন ব্যক্তিগত ৯২ রানে। ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন জয়াসুরিয়া। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরাও হয়েছেন এই লঙ্কান স্পিনার। এই জয়ে দুই টেস্টের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় টেস্ট মাঠে গড়াবে আগামী বৃহস্পতিবার। সেই ম্যাচটিও হবে গলে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৩০৫ (কামিন্দু ১১৪, কুশল ৫০, ও’রুর্ক ৫/৫৫)।
নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৩৪০ (ল্যাথাম ৭০, মিচেল ৫৭, উইলিয়ামসন ৫৫; জয়াসুরিয়া ৪/১৩৬, রমেশ ৩/১০১)।
শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস: ৩০৯ (করুণারত্নে ৮৩, চান্ডিমাল ৬১, ম্যাথুস ৫০; এজাজ ৬/৯০, ও’রুর্ক ৩/৪৯)।
নিউজিল্যান্ড ২য় ইনিংস: ২১১ (রবীন্দ্র ৯২; জয়াসুরিয়া ৫/৬৮, রমেশ ৩/৮৩)।
ফলাফল: শ্রীলঙ্কা ৬৩ রানে জয়ী।