জন্মসূত্রে অস্ট্রেলিয়ান ফরোয়ার্ডকে নিয়ে বাংলাদেশে আসছে ভারত

রায়ান উইলিয়ামসকে খেলানোর জন্য ফিফার অনুমতি এখনো পায়নি ভারত। তবু অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভূত ফরোয়ার্ডকে বাংলাদেশে নিয়ে আসছে ভারত। আজ তাকে স্কোয়াডে রেখেই ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে তারা।
২০১৯ সালে অজিদের হয়ে অভিষেক হয় জন্মসূত্রে অস্ট্রেলিয়ান রায়ানের।
তবে বয়সভিত্তিক পর্যায় পেরিয়ে সিনিয়রদের হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওই ম্যাচটিই খেলতে পেরেছেন ৩২ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। আর সুযোগ না মেলায় সম্প্রতি ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন তিনি। ছেড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার পাসপোর্ট। মা ভারতীয় হওয়ায় এই সুযোগটা নিয়েছেন রায়ান।
ভারতের হয়ে তাকে খেলতে আগ্রহী করেছে দীর্ঘদিন ধরে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের দল বেঙ্গালুরু এফসির হয়ে খেলাও। চাইলে অবশ্য বাবার পরিচয় সূত্রে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের হয়েও খেলতে পারতেন তিনি।
সেই যাই হোক ভারতের হয়ে খেলতে হলে রায়ানকে ফিফার অনুমতি লাগবে। যা এখনো নিশ্চিত নয়।
আগামী ১৭ নভেম্বরের মধ্যে যদি অস্ট্রেলিয়ার অনাপত্তিপত্র এবং ফিফা ও এএফসির অনুমতি পায় তবেই বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামতে পারবেন তিনি। অন্যথা, ভারতের হয়ে অভিষেকের অপেক্ষা দীর্ঘায়িত হবে।
আগামী ১৮ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতকে আতিথেয়তা দেবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের। যা এখন শুধুই নিয়ম রক্ষার হয়েছে।
কেননা মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা আগেই হারিয়েছে দুই দল। তবে উভয় দলের জন্য মর্যাদার লড়াই হয়েছে।
তাই তো বাংলাদেশের পথই অনুসরণ করছে ভারত। গত এক বছরে বেশ কজন প্রবাসী ফুটবলারের অভিষেক হয়েছে বাংলাদেশের হয়ে। যার মধ্যে হামজা চৌধুরী অন্যতম। লেস্টার সিটির মিডফিল্ডারের মতোই ইংল্যান্ডের ঘরোয়া লিগে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে রায়ানের। পোর্টসমাউথ, ফুলহাম ও বার্নলির মতো ক্লাবে খেলেছেন তিনি।
অনুমতি না পাওয়া সত্ত্বেও রায়ানকে দলে রাখলেও দেশের ফুটবলের কিংবদন্তি সুনীল ছেত্রীকে এবার দলে রাখেনি ভারত। সঙ্গে লিস্টন কোলাসোর মতো ফরোয়ার্ডকেও বাংলাদেশের বিপক্ষে রাখেননি কোচ খালিদ জামিল।