চাল ধোয়া পানির ব্যবহার রূপচর্চায়

72

রূচচর্চার ক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় কোরিয়ান বিউটি বা কে-বিউটি। এই বিউটির অন্যতম উপাদান হল চাল ভেজানো পানি ও ভাতের ফ্যান। এই উপাদান দিয়ে ত্বক ও চুলের যত্ন সহজেই নেওয়া যায়। এর উপকারিতাও অনেক। চাল ভেজানো পানি বা ভাতের ফ্যান পাওয়া খুব কঠিন নয়। ভাত রান্নার সময় এসব উপাদান সংগ্রহ করতে পারেন। কোরিয়ান প্রসাধনী না ব্যবহার করলেও চাল ভেজানো পানি ও ভাতের ফ্যানই আপনার রূপচর্চার অংশ হয়ে উঠতে পারে।

কীভাবে ব্যবহার করবেন :

১.চাল ভেজানো পানি দিয়ে হেয়ার স্পা সেরে ফেলতে পারেন। এই উপাদান চুলের উপর প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। শ্যাম্পু করার পর চাল ভেজানো পানি দিয়ে চুলে ঢেলে দিন। কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। এটি চুলকে নরম ও উজ্জ্বল করে তুলবে।

২.ত্বকের যত্নেও চাল ভেজানো পানি ব্যবহার করা যায়। এটি ত্বকের উপর প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে কাজ করে। রোমকূপ পরিষ্কার করতে এবং ত্বকে প্রাকৃতিক আভা এনে দিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে চাল ভেজানো পানি।

৩.চাল ভেজানো পানি সংবেদনশীল ত্বকের জন্যও উপযোগী। তুলোর বলে চাল ভেজানো পানি নিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। চাল ভেজানো জল ব্যবহারের আগে অবশ্যই ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।

৪.চাল ভেজানো পানি ত্বকের মৃত কোষ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। চাল ভেজানো পানি দিয়ে এক্সফোলিয়েটিং স্ক্রাবও বানাতে পারেন। এছাড়া নিয়মিত ব্যবহৃত ক্লিনজারের সঙ্গে চাল ভেজানো পানি মিশিয়েও ব্যবহার করা যায়।

৫.চাল ভেজানো পানি ব্রণ-প্রবণ ত্বকের জন্যও উপযুক্ত। চাল ভেজানো পানির মধ্যে ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ত্বকের প্রদাহ কমাতে এবং তেল নিঃসরণ কমাতে সাহায্য করে। ত্বকের তেলতেলে ভাব কমিয়ে দেয় চাল ভেজানো পানি।

৬.রোদে ঝলসে যাওয়া ত্বকে আরাম পেতে মুখে চাল ভেজানো পানি স্প্রে করুন। চাল ভেজানো পানি প্রাকৃতিক নিরাময় বৈশিষ্ট্য ত্বকের জ্বালাভাব কমিয়ে দেয়। পাশাপাশি ত্বকে সতেজতা বাড়ায়।