চালের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে মিল মালিকদের সাংবাদিক সম্মেলন

57

চাঁপাইনবাবগঞ্জে চালের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন মিল মালিকগণ। আজ সকাল ১১টায় জেলা চেম্বার ভবনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে বর্তমানে জেলার অটো রাইস মিলগুলোয় উৎপাদিত চালের বাজারমূল্যসহ নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন মিল মালিক নেতৃবৃন্দ। জেলা চাউল কল মিল মালিক গ্রুপের ব্যানারে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে গ্রুপের পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা চাউল কল মিল মালিক গ্রুপের সহসভাপতি ও আনোয়ার অটো রাইস মিলের প্রোপাইটার আনোয়ার হোসেন।

এসময় জেলা মিল মালিক ও আতপ ধান চাউল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হারুন-অর-রশিদ, নবাব গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আকবর হোসেন, আতিক অটো রাইস মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজ উদ্দিনসহ অন্যান্য অটো রাইস মিলের মালিকগণ উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়, জিরাশাইল বা মিনিকেট চাল মিলাররা প্রতিকেজি ৬২ টাকা নির্ধারণ করেছেন। মূল্য নির্ধারণ করে মিলের সামনে এবং জেলা শহরের চালের বাজারে ব্যানার টাঙানো হয়েছে।

বর্তমানে চালের বাজার সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় উৎপাদিত মিনিকেট বা জিরাশাইল চাল, স্বর্ণা চাউল রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। দীর্ঘদিন থেকে আমরা জেলার চাল ব্যবসায়ীগণ সুনামের সাথে সারাদেশে প্রসিদ্ধ চাল সরবরাহ করে অঅসছি এবং সরকারের সাথে সুসম্পর্ক রেখে ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছি।
করোনাকালীন আমরা সরকারকে যথা সময়ে চাল সরবরাহ করেছি। সেইসাথে সরকারকে চাল কল মালিক গ্রুপের পক্ষ থেকে আমরা বিনামূল্যেও চাল দিয়ে জেলার গরীব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। ব্যবসায়ীদের কষ্ট হলেও আমরা যথাসময়ে সব মৌসুমে সরকারের গুদামে চাল সরবরাহ করে থাকি।

লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, সম্প্রতি বাজারে চালের মূল্য অস্থির শীর্ষক প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তার পুরোপুরি সত্য নয়। আপনারা জানেন সারাবছরে বিভিন্ন সময় ধানের দাম উঠানামা করায় চালের দামে একটু হেরফের হওয়াই স্বাভাবিক। তারপরও আমরা সহনীয় মূল্যে চাল সরবরাহ করে আসছি। কিন্তু চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর মুনজুর ও সাগর অটো রাইস মিল এবং অন্যান্য মিলারদের নাম ঢাকা থেকে অপোপ্রচার করা হয়েছে, যা সত্য নয়। এরপরেও দু একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হয়তোবা ঘটে যায়। আমরা জেলা প্রশাসনের সাথে মিটিং করে ইতোমধ্যে চালের বাজার সহনীয় রাখতে সুলভ মূল্যে চাল বিক্রির বাজার দর অর্থাৎ চালের মূল্য নির্ধারণ করে প্রত্যেকটি মিলে ব্যানার ঝুলানো হয়েছে।

বর্তমানে বাজারে চালের দাম সহনীয় আছে এবং থাকবে। বাজারে কোনো চালের দাম অতিরিক্ত হয়নি বা অস্থিরতা সৃষ্টিও হয়নি। তবে আমাদের কাছ থেকে কমদামে চাল কিনে কিছু পাইকারী ব্যবসায়ী ও খুচরা বিক্রেতা বাজারে বেশী দামে চাল বিক্রি করছে। আমরা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে যথাসময়ে চালের ব্যাপারে অবহিত করেছি। গত বৃহস্পতিবার আমরা চাল ব্যবসায়ীগণ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেনের সাথে মতবিনিময় সভা করে চালের সঠিক দাম ও মূল্য ঠিক রয়েছে বলে অবগত করেছি।