চালু হলো সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন, তিন বছর পর দুর্ভোগ লাঘব ভারতগামী যাত্রীদের

146

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন চালু করা হয়েছে। করোনা মহামারির সময়ে বন্ধ হওয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ ও ভারতের মাহদীপুর ইমিগ্রেশন দীর্ঘ ৩ বছর বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার নতুন করে চালু করা হয়। দুপুর ১২টায় রাজশাহীস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার এই ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ তিন বছর পর ভারতগামী যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘব হলো। বিশেষ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী অঞ্চলের মানুষের।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মু. জিয়াউর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌসী ইসলাম জেসি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ রুহুল আমিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, সিনিয়র সহসভাপতি মসিউল করিম বাবুসহ চেম্বার ও সোনামসজিদ স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
এর আগে কয়েক দফা এ ইমিগ্রেশনটি চালু করার চেষ্টা প্রসঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, সর্বশেষ গত ১২ মার্চ চালু হওয়ার কথা ছিল সোনামসজিদ-মাহদীপুর স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন। তবে কিছু কাগজপত্রের জটিলতায় তা না হলেও বৃহস্পতিবার দুপুরে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার এ ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদের নেতৃত্বে ২৫ জন ব্যবসায়ী এ ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন।
সোনামসজিদ আমদানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য মেসবাউল হক ও বায়োজিতসহ কয়েকজন জানান, তারা সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে গমসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করেন। তাই মাঝে মধ্যেই ব্যবসায়িক কাজে তাদের ভারতে যেতে হয়। কিন্তু সোনামসজিদ-মাহদীপুর স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন বন্ধ থাকায় তাদের বেনাপোল দিয়ে যেতে হতো। এতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হতো, টাকাও বেশি খরচ হতো। আজ  থেকে এই ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে যেতে পারায় ভোগান্তি কমল। এতে করে সোনামসজিদ বন্দরে ব্যবসায় যে ধস চলছিল তার উত্তরণে এ উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৫ মার্চ করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রীদের যাতায়াত বন্ধ করে দেয় দুই দেশের সরকার।
বৃহস্পতিবার ২৫ জন বাংলাদেশী নাগরিক ভারতীয় ভিসা নিয়ে ভারত গমনের মধ্য দিয়ে ইমিগ্রেশনটির কার্যক্রম নতুন করে চালু হলো।