চার সহকারীর পদত্যাগ, ভীষণ চাপে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

67

পার্টিগেট (করোনাকালে নিয়ম ভেঙে পার্টি করা) নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এমনিতেই প্রবল চাপে আছেন। দলের অন্দরে ও বাইরে তার ইস্তফার দাবি উঠেছে। এই অবস্থায় তার চিফ অব স্টাফ-সহ চারজন সহকারী গতকাল পদত্যাগ করেছন। প্রথমে জনসনের ডিরেক্টর অফ কমিউনিকেশন জ্যাক ডয়েল, পলিসি প্রধান মুনিরা  মির্জা, প্রথমে ইস্তফা দেন। এরপর পদত্যাগ করেন চিফ অব স্টাফ ড্যান রসেনফিল্ড। প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল ব্যক্তিগত সহকারী মার্টিন রেনল্ডসও পদত্যাগ করেছেন।

জনসন তাদের ধন্যবাদ দিয়ে বলেছেন, তারা করোনাকালে যে কাজ করেছেন, সরকার ও ১০ ডাউনিং স্ট্রিটকে যেভাবে সাহায্য করেছেন, তাতে তিনি কৃতজ্ঞ।

করোনাকালে বিধি ভেঙে জনসন প্রচুর পার্টি করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রশাসনিক তদন্তেও দেখা গেছে, জনসন পার্টি করেছেন। তারপরই এই চার সহযোগী পদত্যাগ করেন।

বরিস জনসনের কনসারভেটিভ পার্টির বেশ কিছু সদস্য চান প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করুক। বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার  ১৭ জন কনসারভেটিভ এমপি জনসনের বিরুদ্ধে দলের কাছে অনাস্থার চিঠি দিয়েছেন। ৫৪ জন এমপি এই রকম চিঠি দিলে দলে নেতৃত্ব নিয়ে ভোটাভুটি হবে।

বিরোধী লেবার পার্টি ইতোমধ্যেই পার্লামেন্টে জনসনের পদত্যাগ দাবি করেছে। জনসনের পার্টি নিয়ে এখন লন্ডনের মেট্রোপলিটান পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।

দায়িত্ব নেওয়ার এক বছরের মধ্যে চিফ অব স্টাফ রসেনফিল্ড পদত্যাগ করলেন। ডয়েল ও রেনল্ডের নাম পার্টিগেটে উঠেছে। রেনল্ডসই ২০২০ সালের মে মাসে ই-মেল পাঠিয়ে ‘নিজের মদ নিজে আনো’ পার্টির আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। পুলিশ যেসব পার্টি নিয়ে তদন্ত করছে, তার মধ্যে একটিতে ডয়েল যোগ দিয়েছিলেন