চাঁপাইনবাবঞ্জে নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা, মহানন্দা ও পুনর্ভবা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এই তিন নদীর পানি গড়ে ১০ সেন্টিমিটার করে বাড়ছে। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে নদী ভাঙন ছাড়া ফসলের কোনো ক্ষয়ক্ষতি এখনো হয়নি বলে জানা গেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিদিনের পানি বৃদ্ধিবিষয়ক প্রতিবেদনে জানা গেছে, গত বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পদ্মা নদীর পাঁকা পয়েন্টে পানির সমতল ছিল ২০ দশমিক ২১ সেন্টিমিটার; যা বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সমতল হয়েছে ২০ দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ১০ সেন্টিমিটার। এ নদীর বিপৎসীমা হচ্ছে ২২ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার। এ নদীর পানি বিপৎসীমার ১ দশমিক ৭৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অন্যদিকে মহানন্দায় গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ৯ সেন্টিমিটার। গত বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এই নদীর খালঘাট পয়েন্টে পানির সমতল ছিল ১৮ দশমিক ২২ সেন্টিমিটার। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়ে সমতল দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার। এ নদীর বিপৎসীমা হচ্ছে ২১ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ বিপৎসীমার ৩ দশমিক ২৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে মহানন্দার পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
অপরদিকে গত বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পুনর্ভবা নদীর রহনপুর পয়েন্টে পানির সমতল ছিল ১৮ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার; যা বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়ে সমতল দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ৪৩ সেন্টিমিটারে। অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ১৩ সেন্টিমিটার। এ নদীর বিপৎসীমা হচ্ছে ২১ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ পুনর্ভবা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩ দশমিক ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবীব বলেন— এই মুহূর্তে নদী ভাঙন ছাড়া বন্যার আশঙ্কা নেই। নদীগুলোর পানি বিপৎসীমার অনেকখানি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপরিচালক ড. ইয়াছিন আলী বলেন— এখনো বন্যার পানি কোনো মাঠে ঢুকেনি। তাই এই মুহূর্তে কোনো ক্ষতি নেই। তবে নদী ভাঙনের কারণে কতটুকু ফসলের ক্ষতি হয়েছে তা নির্ণয়ের কাজ চলমান আছে।