চাঁপাইনবাবঞ্জে অস্ত্র ও মাদক মামলায় দু’জনের যাবজ্জীবন

214

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক দুই অস্ত্র ও মাদক মামলায় দু’জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। এর মধ্যে অবৈধ একটি পিস্তল,দুটি ওয়ানশ্যুটারগান, দুই রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগজিন বিক্রির জন্য হেফাজতে রাখার অপরাধে অস্ত্র আইনে দায়ের একটি মামলায় গোলাম জাকারিয়া নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে চাাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র ষ্পেশাল ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক আদীব আলী। জাকারিয়া রাজশাহীর পবা উপজেলার বড়গাছি ইউনিয়নের দাদপুর উত্তরপাড়া গ্রামের তোফাজ্জল ইসলামের ছেলে। অপরদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে একশত চল্লিশ গ্রাম হেরোইন বিক্রির জন্য হেফাজতে রাখার অপরাধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের একটি মামলায় গোলাম রুসুল নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড.কুড়ি হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ৬ মাস কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক রবিউল ইসলাম। রসুল ভোলাহাট উপজেলার হেলাচি গ্রামের রবিউল আলম ওরফে রবুর ছেলে। এই মামলার অপর আসামী ভোলাহাটের বায়তুল ইসলাম গোলাপকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। আজ জাকারিয়ার উপস্থিতিতে ও গোলাম রসুলের অনুপস্থিতিতে (পলাতক) আদেশ দেন ট্রাইবুনাল ও আদালত। অস্ত্র মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী(পিপি) নাজমুল আজম বলেন,২০২১ সালের ২৯ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর ্উপজেলার রহনপুর ইউনিয়নের রাঙ্গামাটি নওদা মিশন গ্রামে র‌্যাব,রাজশাহীর অভিযানে ১টিপিস্তল,২টি ওয়ানশুট্যারগান,২রাউন্ড গুলি ও ১টি ম্যাগজিনসহ গ্রেপ্তার হয় জাকারিয়া। এ ঘটনায় পরদিন গোমস্তাপুর থানায় জাকারিয়াকে একমাত্র আসামী করে মামলা করেন র‌্যাবের তৎকালীন ডিএডি রাসেল মিয়া। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গোমস্তাপুর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক সোহেল রানা ২০২২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারী জাকারিয়াকে একমাত্র অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ৯ জনের সাক্ষ্য প্রমাণ ও শুনানী শেষে ট্রাইবুনাল রবিবার জাকারিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করেন। আসামীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এড. জাকির হোসেন।মাদক মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী( অতিরিক্ত পিপি রবিউল আলম রবু বলেন,২০১৬ সালের ২৩ মার্চ চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর ্উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামে র‌্যাব ক্যাম্প,চাঁপাইনবাবগঞ্জের অভিযানে ১৪০ গ্রাম হেরোইনসহ গ্রেপ্তার হয় গোলাম রসুল ও গোলাপ। এ ঘটনায় ওইদিন গোমস্তাপুর থানায় ওই দুজনকে আসামী করে মামলা করেন র‌্যাবের তৎকালীন পরিদর্শক রাসেল মিয়া। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গোমস্তাপুর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক রেজাউল করিম ২০১৬ সালের ১২ মে ওই দু’জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ১১ জনের সাক্ষ্য প্রমাণ ও শুনানী শেষে রবিবার আদালত রসুলকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করেন ও গোলাপকে খালাস দেন। আসামীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এড. এমদাদুল হক লুটু।