চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে উপনির্বাচন শেষ মুহূর্তে প্রচারণায় দৌড়ঝাঁপ প্রার্থীদের

139

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (গোমস্তাপুর নাচোল, ভোলাহাট) আসনের উপনির্বাচন আগামী ১ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচনকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে প্রার্থীরা তাদের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। উপনির্বাচনে এই আসনে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) টেলিভিশন প্রতীকের প্রার্থী মো. নবীউল ইসলাম ও জাকের পার্টির গোলাপ প্রতীকের প্রার্থী গোলাম মোস্তফার গোমস্তাপুর, নাচোল, ভোলাহাট উপজেলায় গণসংযোগ ও পোস্টার তেমন চোখে না পড়লেও অন্য প্রার্থীদের পোস্টার চোখে পড়েছে।
আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মু. জিয়াউর রহমান পুরোদমে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজশাহী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার আপেল প্রতীক এবং অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী গোমস্তাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য খুরশিদ আলম মাথল প্রতীক এবং জাতীয় পার্টির আব্দুর রাজ্জাক লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা নিজেকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।
এদিকে উপজেলা সদরগুলো পোস্টারে ছেয়ে থাকলেও মফস্বল এলাকায় তেমন পোস্টার টাঙানো নেই। তবে মাইকিংয়ে মুখরিত করে রেখেছেন প্রার্থীদের কর্মীরা। এদিকে ইভিএমে ভোট দিবেন এ আসনের ভোটাররা। ইভিএমে ভোট দেয়া নিয়ে আগ্রহ থাকলেও অন্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো তেমন কোনো উত্তাপ ও উৎসাহ নেই ভোটারদের মধ্যে।
এই আসনে মূলত নৌকা ও আপেল প্রতীকের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে এলাকার অনেক ভোটার মনে করছেন।
পার্বতীপুর এলাকার ভোটার সেবলু বলেন, এই নির্বাচনে ৬ জন প্রার্থীর মধ্যে অনেককে চিনি না। কখন দেখিনি। মাঝেমধ্যে কয়েকজন প্রার্থীকে এলাকায় ভোট চায়তে দেখা গেছে। ইভিএমে ভোট হচ্ছে, তাই আগ্রহ করে ভোট দিতে যাবেন বলে তিনি জানান।
স্বতন্ত্র আপেল প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী সরকার বলেন, আমি এই এলাকার সন্তান। এলাকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখেছি। আপেল প্রতীকের জোয়ার বইছে এই আসনে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তিনি জয়লাভ করবেন বলে দাবি করেন। এছাড়া জয়ী হলে এলাকার উন্নয়নে কাজ করবেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে নৌকার প্রার্থী মু. জিয়াউর রহমান বলেন, এর আগে সংসদ সদস্য থাকাকালীন এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে সবসময় পাশে রয়েছি। তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হবেন বলে আশা করেন।
প্রচারণাকালে জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল প্রতীক) প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক ও মাথল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী খুরশিদ আলমও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বলে তারা জানান।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, তিনটি উপজেলা নিয়ে এই আসনে ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদ ও দুটি পৌরসভা রয়েছে। পৌরসভা দুটি হচ্ছে- রহনপুর ও নাচোল। গোমস্তাপুর উপজেলার আটটি ইউনিয়ন পরিষদ হচ্ছে- গোমস্তাপুর, রহনপুর, রাধানগর, পার্বতীপুর, আলিনগর, বাঙ্গাবাড়ী, চৌডালা ও বোয়ালিয়া। নাচোল উপজেলার চারটি ইউনিয়ন- নাচোল, নেজামপুর, ফতেপুর ও কসবা। ভোলাহাট উপজেলার চারটি ইউনিয়ন- ভোলাহাট, গোহালবাড়ী, দলদলি ও জামবাড়িয়া।
এই তিন উপজেলায় মোট ভোটার রয়েছে ৪ লাখ ৫ হাজার ৪৫০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১ হাজার ১৭০ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৪ হাজার ২৮০ জন। তিন উপজেলার মধ্যে গোমস্তাপুরে মোট ভোটার ২ লাখ ৭ হাজার ৬৮৩ জন, নাচোলে ১ লাখ ১৬ হাজার ৩২০ জন ও ভোলাহাটে ৮১ হাজার ৪৪৭ জন। ভোট কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮০টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ১ হাজার ২৩০টি।