চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে অস্ত্র-গুলিসহ মদ্যপ বিএসএফ সদস্যকে আটকের পর বিএসএফ’র নিকট হস্তান্তর

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলা সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অস্ত্র,গোলা-বারুদসহ মদ্যপ অবস্থায় ভারতীয় সীামান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ এর এক সদস্যকে আটকের পর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি সদস্যদের হাতে সোপর্দ করেছে গ্রামবাসী। পরে তাঁকে কোম্পানী কামন্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ’র নিকট হস্তান্তর করেছে বিজিবি। পতাকা বৈঠকে বিএসএফ সদস্যের অস্ত্র-গোলাবারুদসহ মদ্যপ অবস্থায় বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের কড়া প্রতিবাদ জাননো হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি। স্থানীয় ও বিজিবি সূত্র জানায়, আজ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নারায়নপুন ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সাতরশিয়া গ্রামে পোষাকধারী একজন বিএসএফ সদস্যকে একটি ৫.৫ এম.এম রাইফেলসহ প্রথমে আটক করে গ্রামবাসী। আটকের পর তাঁকে একটি কলাগাছের সাথে বেঁধে রাখা হয়। সকাল ৭টার দিকে ৫৩বিজিবির জোহরপুর বিওপি সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই বিএসএফ সদস্যকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
সিনিয়র কনস্টেবল গনেশ মুতির্ (৪৩) নামের ওই বিএসএফ সদস্য তারকাঁটাবিহীন সীমান্তে গবাদিপশুর পেছনে দৌড়াতে দৌড়াতে সীমান্তের শুণ্য লাইন অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র ও বিজিবি। বিজিবি জানায়, মেইন আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১৯/৭ এস এর নিকট ঘটনাটি ঘটে। ওই বিএসএফ সদস্য ৭১ ব্এিসএফ ব্যাটালিয়নের নূরপুর ক্যাম্পে কর্মরত।
৫৩ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যন্ট কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু ্এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, সকাল সাড়ে ১১টায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিধি মোতাবেক বিএসএফ’র ওই জওয়ানকে নিরাপদে হস্তান্তর করা হয়েছে। ওই জওয়ান বাংলাদেশের প্রায় ২শত থেকে ৩শত গজ অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছিল বলেও জানান অধিনায়ক। ওই বিএসএফ সদস্য যে অবস্থায় যেভাবে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছিল তাতে সে যে কোন অঘটন ঘটাতে পারত বলেও মত প্রকাশ করেন অধিনায়ক। নারায়নপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেন বলেন,সীমান্তে শুণ্যরেখার পাশে এখন এমনকি বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রনাধীন এলাকাতেও গরু-ছাগল চরতে যায় না স্থানীয়রা। কখনও গেলেও বিএসএফ মাঝে মাঝে তাড়া করে। ২ নং ওয়ার্ড সদস্য রমজান আলী বলেন, ওই বিএসএফ সদস্য মদ্যপ, ক্ষিপ্ত অবস্থায় গালি দিতে দিতে বাংলাদেশের প্রায় আড়াইশ গজ ভেতরে ঢুকে পড়লে গ্রামবাসী ও মাঠে অবস্থানরত রাখালরা তাঁকে আটক করে। তাঁর মতিগতি ভাল ছিল না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়েছে যে, সে গুলি চালাতেও প্রস্তুত ছিল।