চাঁপাইনবাবগঞ্জ শত্রুমুক্ত দিবস উদযাপন

91

চাঁপাইনবাবগঞ্জ শত্রুমুক্ত দিবস উদযাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি উদযাপন করে। সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত শহিদ স্মৃতি নাম ফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌসী ইসলাম জেসি ও জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁনসহ অতিথিবৃন্দ।
পরে বেলুন উড়িয়ে দিনের কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এরপর আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আব্দুল মান্নান সেন্টু মার্কেটের সামনে মুক্তমঞ্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শদ্ধা নিবেদন করা হয়। শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধু মঞ্চে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌসী ইসলাম জেসি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপস) আবুল কালাম সাহিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রওশন আলী।
প্রধান অতিথি ফেরদৌসী ইসলাম জেসি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনুরোধ জানিয়ে বলেন-আমার বাবা মরহুম আ.আ.ম.মেসবাহুল বাচ্চু ডাক্তার ছিলেন এ অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। মুক্তিযুদ্ধের তাঁর কিছু ব্যবহৃত জিনিস আমরা সংরক্ষণ করেছি। আপনারাও করবেন। খাবার টেবিলে কিংবা সুযোগ পেলে আপনাদের নাতিনাতনিদের মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনাবেন এবং কাগজে লিখে রাখবেন। যা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পরবর্তীতে জানতে পারবেন আপনারা কীভাবে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশটাকে স্বাধন করেছিলেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণের পাশাপাশি বীর শ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের নামে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়কের নামকরণ করার দবি জানান। তিনি জানান, কীভাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শত্রুমুক্ত হয় এবং ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর কীভাবে শত্রুর বুলেটে শাহাদত বরণ করেন।
জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন আবারো স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন-জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার করা হয়েছে। আপনরা সেই কন্যারে যাবেন, শ্রোতাকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলবেন। আমি বিশ্বাস করি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে পারবে এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে। অনুষ্ঠান থেকে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শাহাদতবরণকারী সদস্যবৃন্দ, জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের শহিদ, যুদ্ধাহত ও বীরমুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। তুলে ধরা হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের উন্নয়ন চিত্র। নতুন প্রজন্মকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।