চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন : একাত্মতা ঘোষণা আন্দোলনকারী শিক্ষকদের কর্মসূচির সঙ্গে
ঢাকায় কারিগরি শিক্ষকদের চলমান অবস্থান কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির প্রধান ফটক সংলগ্ন শহীদ মিনার পাদদেশে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন তারা। সমাবেশে বক্তব্য দেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি বিভাগের ৬ষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী অরিফুল ইসলাম, কম্পিউটার টেকনোলজি বিভাগের ৪র্থ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী রিপন ইসলাম, আরইসি টেকনোলজি বিভাগের ৬ষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী রাশিদুল ইসলাম, ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি বিভাগের ৬ষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মোশারফ হোসেনসহ অন্যরা। পরে তারা অধ্যক্ষের মাধ্যমে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপি ও মানববন্ধনে বলা হয়, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন দেশের ৪৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে কর্মরত রাজস্ব খাতে প্রক্রিয়াধীন ৭৩৮ জন শিক্ষকের ৫১ মাসের বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে। ৫ বছর ধরে চলমান চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা হচ্ছে না। যে কারণে সম্মানিত শিক্ষকরা আন্দোলনে রয়েছেন। শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনের ফলে সারাদেশে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর পাঠদান কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এমন অবস্থায় শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি দ্রুত পূরণ করে ক্লাসে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য কারিগরি অধিদপ্তর এবং কারিগরি মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগকে অনুরোধ করা হয়।
এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের উপাধ্যক্ষ মো. ওমর ফারুক বলেন- ২০১২ সালে স্কিলস অ্যান্ড ট্রেইনিং এনহেন্সমেন্ট প্রজেক্টের মাধ্যমে সারাদেশে বিভিন্ন টেকনোলজি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ১৭ জন শিক্ষক রয়েছেন। প্রজেক্টটি অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। তবে প্রজেক্ট সমাপ্ত হলেও তাদেরকে পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যেতে বলা হয়। তাদেরকে রাজস্ব খাতে নেয়ার জন্য সরকারের সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু তা হয়নি। বর্তমানে এইসব শিক্ষকরা কাজে বহাল থাকলেও তাদের ৫১ মাসের বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে। তাদেরকে রাজস্ব খাতেও নেয়া হচ্ছে না।