Site icon রেডিও মহানন্দা ৯৮.৮ এফএম

চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদ-াদেশ

শিবগঞ্জে ফারজানা আক্তার সীমা নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদ-াদেশ দিয়েছেন আদালত। সে সাথে ১ লাখ টাকা অর্থদ- প্রদান করেন আদালত। আজ চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শওকত আলী আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। দ-িত ব্যক্তি শিবগঞ্জ উপজেলার চৈতন্যপুর মিয়া পাড়ার আমির হোসেনের ছেলে সুমন আলী। মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে সরকারি সহকারী কৌশুলি অ্যাডভোকেট আঞ্জুমান আরা জানান, ২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর সুমন আলীর সাথে চৈতন্যপুর বাজার পাড়ার নূর আলম কাঁচুর মেয়ে ফারজানা আক্তার সীমার বিয়ে হয়। এররই মধ্যে তাদের সংসারে জন্ম হয় শিশু সিয়াম (২+) নামে এক শিশুর। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই সীমাকে শারীরিক ও মানুসিক নির্যাতন করতে থাকে স্বামী সুমন আলী। এর এক পর্যায়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে স্বামী ও স্ত্রীর সম্মতিতে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। শিশু সিয়াম মায়ের কাছেই থাকে। কিন্তু সিয়ামকে পথঘাটে দেখতে পেলে জোরপূর্বক নিজ হেফাজতে নেয়ার চেষ্টা করে সুমন আলী। এ নিয়ে উভয় পরিবারের মাঝে শত্রুতা তৈরি হয়। এর এক পর্যায়ে ২০১৬ সালের ৭ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টার দিকে সুমন আলী বাদীর বাড়িতে হাজির হয়ে ফারজানা আকতার সীমাকে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। সীমাকে বাঁচাতে গেলে সীমার মা দিলুয়ারা বেগম এবং সীমার ভাই কামরুজ্জামানকেও কুপিয়ে জখম করে। প্রচুর রক্তক্ষণ হলে ফারজানা আকতার সীমা ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এসময় মা ছেলের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে সুমন আলীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পরদিন ৮ অক্টোবর নিহত ফারজানা আকতার সীমার ভাই কামরুজ্জামান বাদি হয়ে সুমন আলীকে একমাত্র আসামী করে শিবগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন শিবগঞ্জ থানার তৎকালীন পরিদর্শ (তদন্ত) মো. সরোয়ার রহমান। মামলায় ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আজ দুপুরে সুমন আলীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যদ-াদেশ ও ১ লাখ টাকা অর্থদ-াদেশ দেন আদালত।

Exit mobile version