চাঁপাইনবাবগঞ্জে যক্ষ্মা সচেতনতামূলক সভা

বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষজনদের নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে শনিবার(৯ নভেম্বর) বিকেলে যক্ষ্মা বা টিবি রোগের সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের জেলা স্কাউটস ভবনে এ সভার আয়োজন করে টিবি সারভাইভার্স কমিউনিটি প্ল্যাটফর্ম (টিবিএসসি প্ল্যাটফর্ম), চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখা। । সংগঠনের আহ্বায়ক চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র কনসালটেন্ট (কার্ডিওলজি) ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সংগঠনের সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন, সদস্য ও নাটাবের সহ-সভাপতি শফিকুল আলম ভোতা, সদস্য আরাফাত মিলেনিয়াম, চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রের (আইসিডিডিআরবি) প্রতিনিধি আসিকুর রহমান ও জোসনারা খাতুন, যক্ষ্মা রোগ থেকে সেরে ওঠা মানুষদের মধ্যে শহিদুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, যক্ষ্মা রোগের বিস্তার রোধ ও মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ইউএসএআইডির পৃষ্ঠপোষকতায় আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিডিআর’বি) সচেতনতা বিষয়ক প্রচারণার উদ্যোগ নিয়েছে। কেন না যক্ষ্মাতে শুধু প্রাপ্তবয়স্করা নয়, শিশুরাও আক্রান্ত হচ্ছে। প্রতিবছর মারা যাচ্ছেন অনেকেই। এর বিস্তার ভয়াবহ। এ বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় দুই থেকে চার বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে ২৬ জনের যক্ষ্মা রোগ শনাক্ত হয়েছে। অন্যদিকে ১৪ বছরোর্ধ্ব মানুষদের মধ্যে ২০৩ জন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দিয়ে বক্তারা বলেন, যক্ষ্মা রোগের পরীক্ষা থেকে চিকিৎসা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেয়া হয় জেলা ও টিবি হাসপাতালে। তাই এ রোগটি নিয়ে অবহেলা নয়। এ ছাড়া যক্ষ্মা সম্পর্কে বেশি বেশি সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে হবে।

চিকিৎসক ওমর ফারুক বলেন, যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসার দুই সপ্তাহের মধ্যে রোগ ভালো হয়ে যাবার লক্ষণ দেখা দেয়। তখন অনেকেই ওষুধ সেবন বন্ধ করে দেন। এসব ক্ষেত্রে ওই রোগীর ফুসফুসের স্থায়ী ক্ষতি হয়ে যায়। রোগ শনাক্ত হওয়ার পরই রোগীকে পরিবারের অন্য সদস্যদের কাছ থেকে আলাদা করে অন্তত: ১৫ দিন থাকতে হবে। কেননা, ওষুধ সেবনের ১৫ দিন পর যক্ষ্মার জীবানু ছড়ানোর সম্ভাবনা কমে যায়। পরিবারের অন্য সদস্যদেরও যক্ষ্মা পরীক্ষা করাতে হবে। অনুষ্ঠানে আইসিডিডিআরবি’র প্রতিনিধি আসিকুর রহমান যক্ষ্মা নিয়ে একটি স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন।অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, যক্ষ্মা রোগ থেকে থেকে সেরে ওঠা মানুষজনসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষজন উপস্থিত ছিলেন।