চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভ্রাম্যমান আদালতে ৪ ক্লিনিক, ঔষধের দোকানসহ ৭ প্রতিষ্ঠানের অর্থদন্ড

110

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ২ ক্লিনিক, ২ ঔষধের দোকান ও ২টি রং বিক্রির দোকানসহ ৬ প্রতিষ্ঠানকে অর্থদন্ড করা হয়েছে। আজ দুপুরে সদর উপজেলার আমনুরা এলাকায় লাইসেন্সবিহীন অবৈধ ক্লিনিক পরিচালনার দায়ে বরেন্দ্র ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ও মিশন হাসপাতালকে ২৫ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আদালতের বিচারক ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট আশরাফুল হক বলেন, ক্লিনিক দুটিকে ১৫ দিন সময় দেয়া হয়েছে কাগজপত্র ঠিক করার জন্য। অভিযানকালে সিভিল সার্জন জাহিদ নজরুল চৌধুরী, সিভিল সার্জন অফিসের চিকিৎসা কর্মকর্তা নাহিদ ইসলাম মুন উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া শহরের শান্তিমোড় এলাকায় বিভিন্ন ঔষধের দোকানে অভিযান চালিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ, ফিজিশিয়ান স্যাম্পল ও অননুমোদিত ঔষধ পাওয়া গেলে দুটি দোকানকে ৬ হাজার টাকা অর্থদন্ড করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে অনান্য দোকানগুলোকে সতর্ক করা হয়। আদালতের বিচারক ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট চন্দন কর বলেন, জব্দ ঔষধ ধ্বংস করা হয়েছে। অভিযানকালে ড্রাগ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফুয়ারা খাতুন উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে দুপুরে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলা সদরের ইসরাইল মোড় এলাকায় দুটি রং, ঢেউটিনসহ বিভিন্ন হার্ডওয়্যার পণ্য বিক্রির দোকানে অভিযান চালায় ভ্র্যাম্যমান আদালত। এসময় লাইসেন্স না থাকার দায়ে ১ প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার ও অপর প্রতিষ্ঠানকে ১ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। অভিযানে অংশ নেয়া শিবগঞ্জ থানার সহকারী উপপরিদর্শক(এএসআই) শ্যামল কুমার জানান, আদালত পরচিালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফা সুলতানা।

এদিকে, নাচোলে ১টি রাসায়নিক সার ডিলার ১৫হাজার টাকা অর্থদ- প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। আজ সকালে উপজেলার ধানসুরা বাজার এলাকায় মেসার্স বিশ্বাস ট্রেডিং বিসিআইসি রাসায়নিক সার ডিলারকে এ অর্থদ- প্রদান করা হয়। উপজেলা কৃষি অফিসার বুলবুল আহমেদ জানান, কৃষকের নিকট ডিএফপি বস্তাপ্রতি সরকারি নির্ধারিত মূল্য ৮শ’ টাকার বেশি মূল্যে বিক্রির অভিযোগের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ টিম সারের গুদামে অভিযান চালিরয় ৮শ’ টাকার বেশি মূল্যে বিক্রির সময় হাতেনাতে ধরা হয়। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা সুলতানা ১৫হাজার টাকা অর্থদ- করেন।