চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভয়াবহ হারে বাড়ছে ডেঙ্গু
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভয়াবহ হারে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার বালুবাগান, আরামবাগ, পোল্লাডাঙ্গাসহ বিভিন্ন মহল্লায় ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গু। এছাড়া জেলার শিবগঞ্জ, গোমস্তাপুর ও নাচোলেও ডেঙ্গু হানা দিয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই ৫০ জনের উপরে ডেঙ্গু শনাক্ত হচ্ছেন।
প্রতিদিন ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের ল্যাবে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রোগীদের পরীক্ষা করা হচ্ছে। ১১ জুলাই চলতি মাসে সর্বোচ্চ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। ওই দিন ৯১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশার বিস্তার রোধ করা না গেলে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়বে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বলছে অভিজ্ঞ মহল।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ২১ জন ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে বলে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এছাড়া গোমস্তাপুরে ২ জন শনাক্ত হয়েছেন। গত শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত তারা শনাক্ত হন। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের বহির্বিভাগে শুক্রবার পরীক্ষা বন্ধ থাকায় কোনো রোগী ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে পারেননি।
বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৭২ জন। তাদের মধ্যে ২৪ জন পুরুষ, ৩৭ জন মহিলা ও ১১ জন শিশু রয়েছেন। এছাড়া গোমস্তাপুরে ২ জন ভর্তি রয়েছেন।
একই সময়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ৮ জনকে। এই ৮ জনের মধ্যে ৫ জন পুরুষ ও ৩ জন মহিলা রয়েছেন।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৮৯৭ জনে। একই সময়ে বহির্বিভাগে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৪০১ জনে।
প্রসঙ্গত, চলতি মাস জুলাইয়ের ১ তারিখ ৫১ জন, ২ জুলাই ৫৩ জন, ৩ জুলাই ৫০ জন, ৪ জুলাই ৬২ জন, ৫ জুলাই ১৭ জন, ৭ জুলাই ২৩ জন, ৮ জুলাই ৫৯ জন, ৯ জুলাই ৬২ জন, ১০ জুলাই ৬৩ জন, ১১ জুলাই ৯১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হন।
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মাসুদ পারভেজ বলেন— ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন ল্যাবে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে গোমস্তাপুর উপজেলার রোকনপুর গ্রামের এক পুরুষ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার পোলাডাঙ্গা মহল্লার এক মহিলা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) মারা গেছেন। তাদের মধ্যে মহিলাটি নিজ বাড়িতে আক্রান্ত হয়ে প্রথমে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে তার অবস্থার অনতি হলে তাকে রামেকে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে বেশ কয়েকদিন আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে হেরে যান।