01713248557

চাঁপাইনবাবগঞ্জে  বন্যায় পানিবন্দি মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বন্যায় পানিবন্দি মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়েছে।আজ বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর এলাকায়  পদ্মার পানি বৃদ্ধিতে পানিবন্দি দূর্গত ৩০০  পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। নৌকা থেকে ও শুকনো এলাকায়  নেমে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয় থেকে বরাদ্দ পাওয়া  চাল বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তৌফিক আজিজ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা(পিআইও) আরিফুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আজম সহ সংশ্লিস্টরা। সহকারি কমিশনার বলেন, এই বিতরণ অব্যহত থাকবে। পাঁকা ইউনিয়নে ৮০০ পরিবারের মাঝে চাল ও কিছু পরিবারের মাঝে  উপজেলা পরিষদ থেকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হবে। বরাদ্দ থাকা পর্যন্ত এই কর্মসূচী চলবে। এদিকে সদরের ননারায়নপুর ইউনিয়নে নদীভাঙ্গন ও বন্যা উভয় দুর্য়োগে ক্ষতিগ্রস্থ  ৫০০ জনের জন্য ১০ কেজি করে চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা দ্রুত বিতরণ  করা হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মার পানি কমেছে ও মহানন্দা স্থির রয়েছে। উন্নতি হতে  শুরু করেছে বন্যা পরিস্থিতি। তবে ৩দিন ধরে চলমান বৃষ্টি অব্যহত রয়েছে। বৃষ্টি পানিবন্দি মানুষের দূর্ভোগ বাড়িয়েছে। শুক্রবার(২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত জেলায় ২৪ ঘন্টায়  গড়ে ৩৮ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে কৃষি বিভাগ।
পাউবো সূত্র জানায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মার বিপদসীমা ২২.০৫ মিটার। আজ সন্ধ্যা ৬টায় পদ্মা প্রবাহিত হচ্ছিল ২১.০৯ মিটারে। গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মা ৬ সেমি কমেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের অপর প্রধান নদী মহানন্দার বিপদসীমা ২০.৫৫ মিটার। আজ সন্ধ্যায় নদীটি প্রবাহিত হচ্ছিল ১৯.১২ মিটারে। গত ২৪ ঘন্টায়  মহানন্দার পানি স্থির রয়েছে। তবে জেলার অপর নদী গোমস্তাপুর উপজেলার পূর্ণভবার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ১১ সেমি। এর বিপদসীমা ২১.৫৫ মিটার। শুক্রবার সন্ধ্যায় সন্ধ্যায়  নদীটি ১৯.২৪ মিটারে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এদিকে বন্যায় সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্থ শিবগঞ্জের পাঁকা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক বলেন, কৃষি বিভাগ জেলায় বন্যায় যে ১ হাজার ৮৮৯ হেক্টর জমির ফসল ও ৬ হাজার ৮১০জন কৃষকের ক্ষতির হিসাব করেছে তার তুলনায় ক্ষতিগ্রস্থ জমির পরিমান ও কৃষকের সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছমিনা খাতুন বলেন,নারায়নপুর ই্উনিয়নের  ১ নং ওয়ার্ডে ভাঙ্গণ কবলিত  কমুনিটি ক্লিনিকটি সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেন বলেন, চলতি মাসের ১২ তারিখ এটি সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। যা অব্যহত রয়েছে।