চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি

139

দৈনন্দিন কার্যক্রম বন্ধ রেখে পৌরসভার প্রশাসনিক ভবনের নিচে অবস্থান নিয়ে অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ৯টা হতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর ইউনিটের সভাপতি ইমরান হোসেইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, পৌর কর্মচারী সংসদের সভাপতি এনামুল হক ও সাধারণ সম্পাদক রবিউল আওয়াল, নির্বাহী প্রকৌশলী সাদেকুল ইসলাম, পৌরসভার সচিব  মামুন-অর-রশিদ, সহকারী প্রকৌশলী  রোকনুজ্জমান, বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা নাইমুল হক, আদাযকারী দিলিপ রায়। দাবির সাথে একাত্ম ঘোষণা করে বক্তব্য দেন কাউন্সিলর আব্দুল বারেক। বক্তারা বলেন-পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নাগরিকগণের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সেবা প্রদান করে থাকেন। কিন্তু মাস শেষে বেতন-ভাতাদি এবং চাকুরী শেষে গ্রাচুইটি ও পেনশন পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকে না। এমনকি অবসরের পরে অনেক কর্মচারী অনাহারে অর্ধাহারে দিন অতিবাহিত করেন এবং অর্থাভাবে চিকিৎসা সেবা পর্যন্ত পান না। আর তাই পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও পেনশনসহ অন্যান্য সুবিধা রাষ্ট্রীয় কোষাগার হতে প্রদানের লক্ষে সরকারের নিকট দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু সরকার তাদের দাবি না মানায় তারা এ আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন বলে তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন। বক্তারা জনসেবায় নিয়োজিত পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তায় দীর্ঘদিনের দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

এদিকে, বগঞ্জ পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও পেনশনসহ অন্যান্য সুবিধা রাষ্ট্রীয় কোষাগার হতে প্রদানের দাবিতে পালন হয়েছে। বাংলাদেশ পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পৌরসভা চত্বরে এসোসিয়েশনের সদস্যরা সমাবেত হয়ে কর্মবিরতি পালন করে। কর্মবিরতিতে দাবি তুলে ধরে বক্তব্য দেন শিবগঞ্জ পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী এসোসিয়েশনের সভাপতি মোবারক হোসেন, সহসভাপতি সাদিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবদুল বাতেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদ উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ ইসরাফিল, কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য আজমুল হক কালু, শাহানারা খাতুন, শফিউল আলম এমেল ও কারিমা খাতুনসহ অন্যরা। বক্তারা- ভবিষ্যত নিরপত্তায় জনসেবায় নিয়োজিত পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান। দাবি মেনে না নিলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের ঘোষণা দেন বক্তারা।

এদিকে, একই দাবিতে রহনপুর পৌরসভায় কর্মবিরতি পালন করেছে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন পৌর সচিব খাইরুল ইসলাম, রহনপুর পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি ইসমাইল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, জেলা কমিটির সহ-সভাপতি সৈয়দ আব্দুল মুকিত আপেল, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মনজুর কাদের, রহনপুর পৌরসভার প্রধান সহকারি সরোয়ার জাহান সেলিম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল মতিন, সহকারী কর আদায়কারী জাকির হোসেন বিশ্বাসসহ অন্যান্যরা। এদিকে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি ফলে এলাকায় হাট বার হওয়াই পুরো শহরে ট্রাফিকের অভাবে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়া পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা কাজ না করায় ময়লা আবর্জনার স্তুূপ তৈরি হয়।

অন্যদিকে, নাচোলেও পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেন। পৌরসভা চত্বরে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ পৌসভার বাইরের গেইটে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি পালন করেন। কর্মবিরতিতে অংশগ্রহণ করেন, সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মালেক, কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি শাহনেওয়াজ, প্রধান সহকারী সায়েরা খাতুন, হিসাব রক্ষক সোহেল রানা, লাইসেন্স পরিদর্শক আহসান হাবিব, জাফর ইকবাল ও সহিদুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।