চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক দু’টি মামলায় ৪ জনকে করা‌দণ্ড

657

চাঁপইনবাবগঞ্জে পৃথক দু’টি মামলায় ৪ জনকে করা‌দণ্ড প্রদান করা হয়েছে। তাদের মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়নের আমারক গ্রামের মো. হোসেনের ছেলে খাইরুল (২৪) কে ১০ বছর সশ্রম করা‌দণ্ড ১০হাজার টাকা অর্থদণ্ড, আনাদায়ে আরও ৩ মাস করা‌দণ্ড, একই মামলায় একই গ্রামের সাজ্জাদ আলীর ছেলে ফারুক (২৯) ও মো. রনি (২৪) কে ৫ বছর করে করা‌দণ্ড, ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ১ মাস করে করা‌দণ্ড এবং ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় গোমস্তাপুর উপজেলার দেওপুরা গ্রামের মৃত রফিকুলের ছেলে মো. নুরুজ্জমান (৪৩) কে ৫ বছর কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ১ ৩মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
আজ চাঁপাইনবাবগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-২ এর বিচারক মো. জিয়াউর রহমান এই দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ৮ ডিসেম্বর দণ্ডিত খাইরুল, ফারুক ও রনিসহ আরও কয়েকজন আমারক গ্রামের এক মেয়েকে প্রলোভন দিয়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে মেয়েটি লজ্জায় বিষপান করে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় সদর থানায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাহাঙ্গীর আলম ২০১৩ সালের ৪ এপ্রিল ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় জিয়াউর রহমান নামে একজনের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেন আদালত।
অপর দিকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানান যায়, ২০১৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি গোমস্তাপুর উপজেলার দেওপুরা গ্রামের ১২ বছরের এক প্রতিবন্ধী মেয়ে রাস্তার পাশে খেলা করার সময় নুরুজ্জামান মাঠের মধ্যে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা করে। এ ঘটনায় মেয়েটির চাচা বাদী হয়ে গোমস্তাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের ২ এপ্রিল এসআই নূর মোহাম্মদ সরকার নরূজ্জাজ্জামানের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আজ অঅসামীদের উপস্থিতিতে এই দণ্ড প্রদান করা হয়।