চাঁপাইনবাবগঞ্জে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উদযাপন
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (স.) ১৪৪৭ হিজরি উদযাপন উপলক্ষে অটোরিক্সা র্যালী ও শিশুদের ইসলামিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে জেলা আইনজীবী সমিতি ভবন চত্বর থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের অংশগ্রহনে বের হওয়া ‘মুবারাক’ র্যালীটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। স্থানীয় ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী(স.) উদযাপন কমিটি আয়োজিত র্যালী থেকে পরিবেশিত হয় সুমধুর কণ্ঠের হামদ ও নাত। র্যালী শেষে দেশ ও জাতি এবং সমগ্র মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয় এবং তাবারক (মিষ্টান্ন) বিতরণ করা হয়।
র্যালীতে অংশ নেন উদযাপন কমিটি সভাপতি এড.আফসার আলী, সহ-সভাপতি জহির উদ্দীন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক বেলাল উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক শাহিন সরকার, সদস্য জাকির হোসেন, কামরুজ্জামান খাঁন সহ বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, দিবসটি উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ইসলামিক ফাউন্ডেশন শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে ইসলামিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। আজ সকালে জেলা মডেল মসজিদে ইফা কার্যালয়ে শিশুরা কেরাত, নাত, হামদ, রসুল (স.)-এর শানে কবিতা, রচনা ও আযান প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। দুপুরে প্রতিযোগিতা ও আলোচনা শেষে ইফা উপ-পরিচালক গোলাম মোস্তাফার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার হিসেবে মহানবী হজরত মোহাম্মদ (স.) জীবনী নিয়ে রচিত বই উপহার হিসেবে তুলে দেন জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ।
এদিকে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী(স.) উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন মসজিদে মসজিদে গতকাল বাদ জুম্মাহ থেকে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিছু মসজিদে শুক্রবার বাদ এশা এবং কিছু মসজিদে আজ বিভিন্ন ওয়াক্তের নামাজ শেষে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে বাবুডাইং আলোর পাঠশালা। এ উপলক্ষে শনিবার রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বাবুডাইং-এ বিদ্যালয়ে ক্বিরাত, হামদ-নাত, কুইজ প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মরিয়ম খাতুন। বিদ্যালয়ের সভাপতি জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য দেন জামিয়া সালাফিয়া নূরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস। এরপর শিক্ষার্থীদের নিয়ে হামদ-নাত, ক্বিরাত ও নবীজীকে নিয়ে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। তৃতীয় থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে চারটি ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতা ও পৃথকভাবে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রতিযোগিতার ২০ জন বিজয়ীকে পুরস্কার হিসেবে শিক্ষা উপকরণ তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিনিয়র শিক্ষক সাঈদ মাহমুদ।
এসময় বক্তারা বলেন, হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন সর্বশেষ নবী ও রাসুল। তিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন তাওহিদের বাণি নিয়ে। প্রচার করেছেন শান্তির ধর্ম ইসলাম। তিনি ছিলেন একজন আদর্শবান মানবিক মানুষ। যে বিধর্মী নারী তাঁর পথে কাঁটা বিছিয়ে তাঁকে কষ্ট দিয়েছেন, সেই নারী অসুস্থ হলে সেবা করে তাকে সুস্থ করেছেন তিনি। তিনি মানুষকে শান্তির পথে নিয়ে এসেছেন। আমরা তার আদর্শকে অনুসরণ করে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করব। শেষে দোয়া পরিচালনা করেন মো. আব্দুল কুদ্দুস।