চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা’র তীর রক্ষা বাঁধ ধ্বংস করে মাটি কাটা বন্ধে পাউবো’র জিডি’র আবেদন
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকা ভাঙ্গণ থেকে রক্ষাকল্পে নির্মিত বামতীর বাঁধ ধ্বংস করে মাটি কাটা ও বালু উত্তোলন বন্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় সাধারণ ডায়েরীর (জিডি) আবেদন করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ। গতকাল পাউবো, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. চাঁন মিয়া স্বাক্ষরিত জিডি আবেদন করেন। ওই আবেদন সূত্রে জানা যায়, ২০০১-২০০৩ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আওতাধীন ‘পদ্মা নদীর ভাঙ্গণ হতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলা রক্ষা প্রকল্প’ এবং পদ্মা নদীর ভাঙ্গণ হতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলাধীন পাঁকা ও দূর্লভপুর এলাকা রক্ষা’ প্রকল্পের মাধ্যমে দূর্লভপুর হতে সদর উপজেলার বাখের আলী এলাকা পর্যন্ত ২০.৪৮ কি.মি মাটির বাঁধ,৮টি স্পার ও ক্লোজার নির্মাণ করা হয়। গত ১৮ মার্চ সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের কালিনগর এলাকা পরিদর্শনকালে পাউবো কর্মকর্তারা স্থানীয়দের নিকট জানতে পারেন যে, বেআইনীভাবে অজ্ঞাত ব্যাক্তিরা রাতের আঁধারে বাঁধের সিসি ব্লকের উপর দিয়ে রাস্তা তৈরী করে পদ্মার চর থেকে এস্কেভেটর,ডাম্প ট্রাক,পাওয়ার টিলার ইত্যাদি ব্যবহার করে মাটি কাটছে ও বালু উত্তোলন করছে। ফলে ব্লক ভেঙ্গে ক্লোজার দূর্বল হয়ে মূল বাঁধ হুমকির মুখে। এর ফলে ক্লোজার ভেঙ্গে গেলে পদ্মার পানি জেলার পাগলা নদীতে প্রবেশ করবে। ফলে বর্ষায় ও বন্যায় সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলা নদী ভাঙ্গণসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হবে।
আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, এ ব্যাপারে মৌখিকভাবে কয়েকবার নিষেধ করলেও মাটি কাটা কার্যক্রম চলছে। এমতাবস্থায় প্রতিরক্ষামূলক বাঁধ তথা কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পদ রক্ষার্থে আইনী পদক্ষেপ নেয়া জরুরী। এ ব্যাপরে পাউবো, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, বিসয়টি উদ্বেগের। জেলা পানি সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ ব্যাপাওে আলোচনা করা হবে। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মতিউর রহমান বলেন,গত রোববার রাতে জিডি আবেদন পাওয়া গেছে। উর্ধতণ মহলের সাথে কথা বলে এ ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। সংশ্লিস্ট ৬ নং বাঁধ এলাকার ইউপি সদস্য গোলাম আরিফ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, এমন ঘটনা নতুন নয়। দায়িত্বশীল অনেকেই এ ব্যাপারে অবগত।