চাঁপাইনবাবগঞ্জে জমি নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

103

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার বটতলাহাট এলাকার একটি জমি নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই জমিকে কেন্দ্র করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. মোখলেসুর রহমানের লোকজনের বিরুদ্ধে মারপিট ও চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে মুনিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
মুনিরুল ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার বালিগ্রাম নতুন পাড়ার মৃত তৈমুর রহমানের ছেলে।
অপর দিকে তার এই অভিযোগ অস্বীকার করে পৌর মেয়র মো. মোখলেসুর রহমান বলেছেন, মুনিরুল ইসলাম পৌরসভার জায়গা অবৈধভাবে দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করার চেষ্টা করেছে এবং পৌর কর্মচারী বাধা দিতে গেলে উল্টো ২ কর্মচারী মুনিরুল ইসলামের দ্বারা মারধরের শিকার হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মুনিরুল ইসলাম বলেনÑ চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার শংকরবাটি মৌজার আরএস ২৪৫৯ নং দাগের শূন্য দশমিক ২০ একর জমি আমার পৈত্রিক সম্পত্তি। ভুলবশত ১৯৭২ সালে আরএস রেকর্ডে সরকারের নামে রেকর্ড হয়ে যায়। বিষয়টি জানতে পারার পর ২০১৮ সালে আমি লিগ্যাল ওয়ারিশ হিসেবে রেকর্ড সংশোধনের জন্য মামলা করি। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করেই মেয়র ও প্যানেল মেয়র সালেহ উদ্দিন পাকা ভবন নির্মাণ করলে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করি।
মুনিরুল ইসলাম বলেনÑ গত ২২ অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র তার লোকজন নিয়ে এসে চাঁদা দাবি করেন। আমি দিতে অস্বীকার করলে মেয়রের চাচাতো ভাই আবু বাক্কারসহ তার লোকজন আমাকে মারধর করে।
‘মেয়র মোখলেসুর রহমান সরাসরি চাঁদা দাবি করেছেন?’ সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে মুনিরুল ইসলাম বলেনÑ না।
‘তাহলে মেয়রকে জড়ালেন কেন?’ এমন প্রশ্নের জবাবে মুনিরুল ইসলাম বলেনÑ এটা আমার ভুল হয়ে গেছে। তবে তিনি এও বলেন, মেয়রের হুকুমে তার লোকজন চাঁদা দাবি করেছে এবং আমাকে মারধর করেছে। আমি ওই দিনই চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় বাক্কারসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করি।
সংবাদ সম্মেলনে মুনিরুল বিষয়টি বিচারাধীন উল্লেখ করে আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত জায়গাটি ফাঁকা রাখার দাবি জানান।
এসময় মুনিরুল ইসলামের ছেলে এবাদত হোসেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে মুনিরুল ইসলামের অভিযোগ অস্বীকার করে পৌর মেয়র মো. মোখলেসুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেনÑ চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার বাসিন্দা মো. মুনিরুল ইসলাম আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি গত ২২ অক্টোবরের আগে থেকে ব্যবসায়িক কাজের জন্য ঢাকায় অবস্থান করছিলাম। আমার কোনো ভাই বা আমার কোনো লোকজনও এর সঙ্গে জড়িত নয়। অথচ মুনিরুল ইসলাম আমাকে জড়িয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে মুনিরুল ইসলাম পৌরসভার সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করার চেষ্টা করলে পৌরসভার ২ কর্মচারী তাতে বাধা প্রদান করে। এসময় মুনিরুল ইসলাম ও তার লোকজন পৌরসভার কর্মচারীদ্বয়কে মারধর করে জখম করে। এঘটনায় প্যানেল মেয়র-১ মো. সালেহ উদ্দীন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
মেয়র বলেন, কিন্তু প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।