চাঁপাইনবাবগঞ্জে চাঞ্চল্যকর ১৪ বছরের কিশোর সিহাব হ*ত্যা মামলায় ২ জনের যা*বজ্জীবন
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ব্যাটারীচালিত একটি রিক্সাভ্যান কেড়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে ১৪ বছরের কিশোর সিহাবকে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় দায়ের একটি মামলায় ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে উভয়কে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। আজ বিকেল পৌনে ৪টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের দায়রা জজ মিজানুর রহমান আসামীদের উপস্থিতিতে দন্ডাদেশ প্রদান করেন। দন্ডিতরা হলেন- গোমস্তাপুর উপজেলার গোপীনাথপুর ছোটদাদপুর গ্রামের আফজাল হোসেন ওরফে আবজাল মন্ডলের ছেলে আব্দুল হাকিম ওরফে হাকিম আলী এবং শিবগঞ্জ উপজেলার মির্জাপুর কর্নখালী গ্রামের সুজন আলী। একই মামলায় গোমস্তাপুরের কাশিয়াবাড়ি আলমপুর গ্রামের মৃত তফের আলীর ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন নামে অপর এক আসামীকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। নিহত সিফাত গোমস্তাপুরের পার্বতীপুর ইউনিয়নের ধলখেরৈ গ্রামের সাদিকুল ইসলামের ছেলে।
মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা যায় এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীব (পিপি) আব্দুল ওদুদ বলেন, ২০২০ সালের ৩১ আগষ্ট বিকালে বাড়ি থেকে ভাড়ার জন্য ভ্যান নিয়ে বের হয় সিফাত। কিন্তু ওইদিন সে আর বাড়ি ফেরেনি। অনেক খুঁজেও তার সন্ধান মেলেনি। এ ঘটনায় পরদিন ১ সেপ্টেম্বর গোমস্তাপুর থানায় নিখোঁজ ডায়রী করেন সিফাতের বাবা। এরপর পুলিশ সিফাতকে খুঁজতে শুরু করে এবং ঘটনায় জড়িত সন্দেহে হাকিম ও সুজনকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা পরিকল্পিতভাবে ভ্যান কেড়ে নেবার জন্য সিফাতকে ৩১ আগষ্ট রাতেই গলায় পরনের গেঞ্জি পেঁচিয়ে শ^াসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেন। তাঁদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পরদিন ২ সেপ্টেম্বর ভোররাতে গোমস্তাপুরের রাধানগর ্ ইউনিয়নের যাতাহারা বাজার এলাকায় সড়ক থেকে ৩ শত গজ ভেতের একটি আখক্ষেতের মধ্যে থেকে সিফাতের মরদেহ উদ্ধার হয়। কেড়ে নেয়া ভ্যান উদ্ধার হয় মোয়াজ্জেমের বাড়ি থেকে।
এ ঘটনায় ওইদিন সিফাতের বাবা গোমস্তাপুর থানায় ৩ জনকে আসামী করে মামলা করেন। ২০২০ সালের ৭ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) এবং গোমস্তাপুর থানার তৎকআলীন পরিদর্শক মিজানুর রহমান ওই ৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ২৮ জনের সাক্ষ্য, প্রমাণ ও যুক্তিতর্ক শেষে আদালত মঙ্গলবার হাকিম ও সুজনকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা প্রদান করেন এবং মোয়াজ্জেমকে খালাস দেন। আসামীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এড. গোলাম মোস্তফা এবং অন্যরা।