চাঁপাইনবাবগঞ্জে কৃষক হত্যা মামলায় এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পাওনা টাকা পরিশোধ না করার জন্য কালাম আলী ওরফে কালু নামে এক কৃষককে পরিকল্পিতভাবে শ^াসরোধে খুনের দায়ে আব্দুল খালেক নামে এক ব্যক্তিকে যাজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসাথে তাঁকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়। আজ বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দায়রা জজ মিজানুর রহমান আসামীর উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন। নিহত কালু শিবগঞ্জ উপজেলার দাইপুকুরিয়া ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে। দন্ডিত খালেক একই এলাকার আজাহার আলীর ছেলে। মামলায় অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় একই এলাকার সাদ্দাম, আলমাছ ও আব্দুর রাজ্জাক নামে অপর তিনজনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা যায় এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী(পিপি) আব্দুল ওদুদ বলেন, ২০২২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারী রাতে নিজ গ্রাম এলাকার একটি আমবাগানে খুন হন কালু। হাত বেঁধে, গলায় রশি পেঁচিয়ে শ^াসরোধে তাঁকে হত্যা করা হয়। পরদিন ২০ ফেব্রুয়ারী সকালে তাঁর মরদেহ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় ওইদিন
কালুর বাবা শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) এবং শিবগঞ্জ থানার তৎকালীন পরিদর্শক আব্দুল মালেক ২০২২ সালের ২৯ মে ৪ জনকে আসামী করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ১৮ জনের সাক্ষ্য, প্রমাণ ও শুনানী শেষে বিচারক আজ খালেককে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করেন। অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় অপর ৩ জনকে খালাস দেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এড. ইসমাইল।