চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা পরিস্থিতি খারাপ হলে সেনাবাহিনীর সহায়তায় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেছেন সিভিল সার্জন

111

চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা রোগিদের চিকিৎসার ন্যূনতম প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন জাহিদ নজরুল চৌধুরৗ। এতে প্রাথমিক অবস্থা সামাল দেয়া যাবে। সকল রোগিদের হাসপাতালে থেকে চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না জানিয়ে তিনি বলেন,শুধু অধিক শ্বাসকষ্ট ও জটিল পরিস্থিতিতেই করোনা রোগিকে হাসপাতালে আসতে হবে।
সিভিল সার্জন বলেন, করোনা চিকিৎসায় সেনাবাহিনীর ১৬’ফিল্ড আ্যাম্বুলেন্সের সাথে আলোচনা হয়েছে। পরিস্থিতি খুব খারাপ হলে জেলা শহরের ডা.আ.আ.ম. মেসবাহুল হক(বাচ্চু ডাক্তার) ষ্টেডিয়ামে সেনা সহায়তায় বড় আকারে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার প্রাথমিক প্রস্তুতি রয়েছে।
আজ বিকেলে তিনি বলেন, পরিস্থিতি খুব খারাপ না হলে প্রশাসনের সহায়তায় প্রাথমিক অবস্থা সামাল দেয়া যাবে। তবে জেলায় কোন আইসিইউ বা ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা নাই জানিয়ে তিনি বলেন জেলার সরকারী ৫টি হাসপাতালে সিলিন্ডারে অক্সিজেন দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। সদর হাসপাতালের নতুন ভবনে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপ্লাই সিস্টেম চালু করার কাজ চলছে।
সিভিল সার্জন বলেন, জেলায় করোনা চিকিৎসায় বিশ্বব্যাপী বহুল ব্যবহৃত ম্যালেরিয়ার ঔষুধ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন এর দেড় হাজার ডোজ সরবরাহ রয়েছে। তবে তা শুধু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শেই সেবন করা যাবে।
সিভিল সার্জন বলেন, জেলার সদর হাসপাতাল ও চারটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৩শ’টি শয্যার মধ্যে ৩৮টি শয্যাকে করোনা রোগি চিকিৎসার জন্য ডেডিকেটেড রাখা হয়েছে। আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ৫টি। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার রয়েছে সদরসহ ৫ উপজেলায় ৫টি। প্রস্তুত রয়েছেন ৭২ চিকিৎসক ও ২৫০ নার্স। যে কোন রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকই করোনা রোগিদের চিকিৎসা করতে সক্ষম হলেও মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা অগ্রনী ভূমিকা রাখবেন। সিভিল সার্জন বলেন, করোনা রোগিদের জন্য ৬টি পৃথক আ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রয়েছে। জেলায় সরাকরী পিপিই বরাদ্দ এসেছে ৭ হাজার ১৭৭ সেট।
তিনি বলেন , করোনা মোকাবেলায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একাধিক কমিটি কাজ করছে। রয়েছে বিভিন্ন ধরণের স্বেচ্চাসেবক। সিভিল সার্জন করোনা যেন না হয় সে ব্যাপারে সচেতন হয়ে সরকারী নির্দেশ মেনে চলার জন্য সকলের প্রতি আহব্বান জানান।