চাঁপাইনবাবগঞ্জে উন্নয়ন কনসার্টে ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা

460

আবহমান বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় অনুষঙ্গ লাঠি খেলা। তবে সময়ের সঙ্গে হারাতে বসেছে বাংলার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী এ খেলা। একই সঙ্গে হুমকির মুখে পড়েছে এই খেলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের জীবন-জীবিকাও। তারপরও অনেককে মাঝে মাঝে খেলাটি খেলতে দেখা যায়। জেলায় সে ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলাকে ধওে রাখতে এবং এ-যুগের মানুষের সামনে উপস্থাপন করতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির সহযোগী প্রতিষ্ঠান প্রয়াস ফোক থিয়েটার ইনস্টিটিউট কাজ করে চলেছে। বিশেষ করে গম্ভীরা ও লাঠি খেলা ফোক থিয়েটারের শিল্পীরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ফুটিয়ে তুলছেন। হারানো ঐতিহ্য আঁকড়ে ধরে গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে চলেছে প্রয়াস ফোক থিয়েটারের একঝাক সদস্য। শনিবার শহরের বাচ্চু ডাক্তার স্টেডিয়ামে উন্নয়ন মেলায় হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা প্রদর্শন করে ফোক থিয়েটার। মাঠে আসা দর্শনার্থীরা জানান, আবহমান গ্রাম বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় লাঠি খেলা। বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে মানুষ এখন ভুলতে বসেছে এক সময়ের জনপ্রিয় এই খেলাটি। তারাও চান প্রশাসনের প্রতিটি অনুষ্ঠানে যেন এমন আয়োজন করা হয়। ফোক থিয়েটারের সদস্যরা বর্ণিল সাজে লাঠি হাতে অংশ নেন এ খেলায়। ঢাকঢোল আর বাঁশির তালে আনন্দে উল্লাসে মেতে ওঠেন সবাই। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে নানা বয়সের মানুষ এ খেলা উপভোগ করেন। মানুষের এ উচ্ছাস প্রমাণ করে লাঠি খেলা নিয়ে মানুষের আগ্রহ আছে। কিন্তু লাঠি খেলা নতুন দল তৈরি হচ্ছে না। হচ্ছে না কোন চর্চা। যে কারণে, এখন লাঠি খেলার আয়োজন হয় না নিয়মিত। তবে যারা লাঠি খেলেন, তাদের এ ঐতিহ্য ধরে রাখার আগ্রহ আছে। শিবগঞ্জের মোনাকষায় আদি পেশা হিসেবে এখনও কিছু পরিবার লাঠি খেলার কসরত প্রদর্শন কওে বিভিন্ন অনুষ্টানে। কিছুদিন আগে বারঘোরিয়ায় চাঁপাই ম্যাংগো ফেস্টেও তারা এসে লাঠি খেলা দেখায়। সেখানেও বহু মানুষ উপভোগ করেছিল এ খেলা। উন্নয়ন কনসার্টে ঢাকা থেকে আগত সাব্বির, নাজু, পিন্টু ঘোষ, পারভেজ, জলের গান ও সব শেষে মমতাজ গান গেয়ে দর্শক শ্রোতাদের বিনোদন দেন। রাতে সরকারের উন্নয়নমূলক লেজার শো ও আতশবাজির মধ্য দিয়ে শেষ হয় সরকারের উন্নয়ন কনসার্ট।