চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উদযাপন

134

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উদযাপন করা হয়েছে। “ঐতিহ্যগত বিদ্যা সংরক্ষণ ও বিকাশে আদিবাসী নারীদের ভূমিকা” শীর্ষক প্রতিপাদ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরাম নানা কর্মসূচির আয়োজন করে। আজ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নারী পুরুষ ও শিশুরা জেলা শহরের ফায়ার সার্ভিস মোড়ে সমবেতন হন। পরে বেলা ১১টার দিকে সেখান থেকে তাদের নিজস্ব বাদ্যের তালে তালে নেচে গেয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা করে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে সমাবেশে মিলিত হন।

আদিবাসী নেতা হিঙ্গু মুরমুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে ৬ দফা জাতীয় দাবির পাশপাশি স্থানীয় দাবি দাওয়া তুলে ধরা হয়। জাতীয় দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, আদিবাসী শব্দ ব্যবহার না করার সরকারি নির্দেশনা প্রত্যাহার, আদিবাসী হিসাবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি, সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন, সমতলের আদিবাসীদের পক্ষ হতে সংসদে প্রতিনিধি নিশ্চিত করা, সংখ্যা লঘু কমিশন গঠন এবং উত্তরবঙ্গের আদিবাসীদের জীবন মান উন্নয়নে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ রাখা। এছাড়া স্থানীয়ভাবে আদিবাসীদের জায়গা জমি রক্ষা, শ্বাশান রক্ষাসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা হয়।

সমাবেশে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন, নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর, ড. শংকর কুমার কুন্ডু, সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন দিলু, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ডাবলু কুমার ঘোষ, জেলা অ্যাডভোকেসি প্ল্যাটফরমের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইয়াসমিন সুলতানা রুমা। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরাম জেলা কমিটির সভাপতি কর্নেলিউস মুরমু, তথ্য ও প্রচার সম্পাদক, প্রদীপ হেমব্রম, আদিবাসী নেত্রী কুটিলা রাজোয়াড়, মনোরঞ্জন টুডু, সুবাস হাঁসদা।

এসময় উপজেলা অ্যাডভোকেসি প্ল্যাটফরমের সভাপতি শিক্ষক মোস্তাক হেসেনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।

পরে “মাদল’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। মাদল গ্রন্থটি বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, লেখক-গবেষক, সাংবাদিক, নাট্যজন, সমাজকর্মী ও উন্নয়নকর্মীর লেখা নিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে।