চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুরুু হয়েছে ভ্রাম্যমাণ বই মেলা

297

চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুর” হয়েছে ভ্রাম্যমান বই মেলা। আলোঘর প্রকাশনার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই বই মেলা চলবে আগামী ৩০এপ্রিল পর্যন্ত। আজ সদর উপজেলার গ্রীণ ভিউ উচ্চ বিদ্যালয় ও হরিমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রথম দিনের বই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। বই মেলা চলে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। আলোঘর প্রকাশনার প্রোগ্রাম অফিসার হাসনাত মোবারক জানান, পর্যায়ক্রমে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ভ্রাম্যমান বই মেলা অনুষ্টিত হবে। এর মধ্যে গ্রীণ ভিউ উচ্চ বিদ্যালয়ে আজ ও আগামীকাল, হরিমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ে আজ, নবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৪ এপ্রিল, নয়াগোলা উচ্চ বিদ্যালয় ও এমএম হক আইডিয়াল স্কুলে ২৫ এপ্রিল, রহনপুর তোজাম্মেল হোসেন একাডেমি ও রাবেয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৬ এপ্রিল, রহনপুর এ. বি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৭ এপ্রিল, ফুলকুড়ি ইসলামিক একাডেমি ও কামাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৮ এপ্রিল, চরমোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও সত্রাজিতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৯ এপ্রিল এবং রাজরামপুর হামিদুল্লাহ হাই স্কুলে ৩০ এপ্রিল এই ভ্রাম্যমাণ বই মেলা অনুষ্ঠিত হবে। আলোঘর প্রকাশনার প্রোগ্রাম অফিসার হাসনাত মোবারক আরো জানান, ঢাকায় অনুষ্ঠিত ২১ শে বই মেলায় সকল শিক্ষার্থীর বই পড়া কিংবা বই দেখার সুযোগ হয় না। তাই শিক্ষার্থীদের বই পড়ার সুযোগ করে দিতে এবং বই পড়ার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করেতেই বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় তারা ভ্রাম্যমান বই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট কমিশনে বই দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি। গ্রীণ ভিউ উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্টিত ভ্রাম্যমান বই মেলার বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক রোকসানা আহম্মদ এর সাথে কথা হলে জানান, বর্তমানের শিক্ষার্থীরা নতুন বই এর সুগন্ধ ভুলে গেছে। নতুন বই খোলা সেই সুগন্ধ নিয়ে বই পড়ার যে তৃপ্তি, সেই মজাটি যেন আবার ফিরে আসে সেই সুযোগ তৈরী হচ্ছে। সেই সাথে পঠ্য বইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন স্বাদের বই পড়ার যে একটা চমৎকার অনুভূতি এবং পরবর্তী জীবনের জন্য এই বই পড়া যে কীভাবে তাকে এগিয়ে নেই তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। তাই অভিভাবকদের অনুরোধ করব সন্তানদের বিভিন্ন স্বাদের বই পড়ার সুযোগ করে দিতে। সেই সাথে বিদ্যালয় পর্যায়ে ভ্রাম্যমান বই মেলা আয়োজন করার জন্য আলোঘর প্রকাশনাকে ধন্যবাদ জানান তিনি। এদিকে ভ্রাম্যমান বই মেলায় গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা ভিড় করে বই দেখছেন। এবিষয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা হলে তারা জনান, বই মেলায় বিভিন্ন লেখকের বিভিন্ন ধরনের বই দেখছেন। যা তাদেরকে বইপড়ার প্রতি আরো আগ্রহী করে তুলছে। এই ধরণের আয়োজন ভবিষ্যতেও অব্যহত রাখা ও বড় পরিসরে আয়োজনের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানান।