চরবাগডাঙ্গায় পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণ কাজ ডিসেম্বরেই শুরু হচ্ছে

883

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণ, ক্ষতিগ্রস্ত নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ ও বেড়ি বাঁধ মেরামত কাজ আগামী ডিসেম্বরেই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা শাখা-৩-এর সিনিয়র সহকারী প্রধান আবু ইউসুফ মোহাম্মদ রাসেল। শুক্রবার সকালে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে স্থানীয়ভাবে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা জানান। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানান, চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের গোয়ালডুবি হতে কাঁইড়া পাড়া পর্যন্ত ২ হাজার ৯ মিটার জুড়ে নতুন করে নদী তীর সংরক্ষণ, ৪ কি.মি. নদী তীর সংরক্ষণ বাঁধ ও ৮ কি.মি. বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য ২৫৭ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠাটিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এর মধ্যে ২ হাজার ৯শ মিটার জুড়ে নতুন করে নদী তীর সংরক্ষণের জন্য ১৫৭ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। প্রকল্পের বাস্তবতা অধিক যাচাই বাছাইয়ের জন্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন আসেন তিনি। তিনি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের রোড পাড়া গ্রামে পদ্মা নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ, জেলা প্রশাসক এ জেড এম নূরুল হক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন, ৫৩ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর এখলেসুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ সাহিদুল আলমসহ বিপুল সংখ্যক ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। তারা অচিরেই ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। পরে নদী তীরে স্থানীয়ভাবে আয়োজিত সূধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসক এ জেড এম নূরুল হক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে যাদের চাল ও ঢেউটিন প্রয়োজন তাদের তালিকা করে জমা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চরবাগডাঙ্গা ইউনয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ওমর আলী। উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরের পদ্মা নদীর তীব্র ভাঙনে চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের গোয়ালডুবি থেকে ভারত সীমান্ত বরাবর কাঁইড়াপাড়া পর্যন্ত ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ইতোমধ্যে রোড পাড়া গ্রামটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।