মৌসুমি ঘূর্ণিঝড় কিরিলির আঘাতের জেরে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ কুইন্সল্যান্ডের উপকূলীয় এলাকার হাজার হাজার মানুষ। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে কুইন্সল্যান্ডের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে কিরিলি। স্থানীয় সময় গতকাল সন্ধ্যার পর কুইন্সল্যান্ডের উপকূলীয় পর্যটন শহরের কাছে গ্রেট ব্যারিয়ার রিফে আছড়ে পড়ে কিরিলি। অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া দপ্তর কিরিলিকে ক্যাটাগরি ২ ঘূর্ণিঝড় হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। গতকাল রাতজুড়ে উপকূলীয় শহরগুলোতে তাণ্ডব চালানোর পর শুক্রবার ভোররাত থেকে শক্তি হারিয়ে ভারী বর্ষণ ও ঝড়ো হাওয়াপূর্ণ সাধারণ ঝড়ে পরিণত হয়েছে কিরিলি। অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে কুইন্সল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী স্টিভেন মাইলস জানান, ঘুর্ণিঝড়ের আঘাতের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছেন অন্তত ৬৪ হাজার মানুষ। কুইন্সল্যান্ডের প্রধান বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এরগন এনার্জির মুখপাত্র এমা অলিভেরি জানিয়েছেন, ঝড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাই সরবরাহ স্বাভাবিক অবস্থায় পৌঁছাতে কত সময় লাগবে, এখনই তা বলা যাচ্ছে না।
ঝড়ের পর কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ সংলগ্ন বিভিন্ন উপকূলীয় শহর কার্যত ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, কিরিলির জেরে বৃহস্পতিবার সারাদিন বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাবে প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায়। ‘এ সময় বাতাসের ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে,’ সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলেছে আবহাওয়া দপ্তর। টানা ঝড়-বৃষ্টির প্রভাবে কুইন্সল্যান্ডে বন্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী স্টিভেন মাইলস। দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ অবশ্য জানিয়েছেন, কুইন্সল্যান্ডের দুর্যোগ কবলিত বিভিন্ন এলাকার লোকজনকে সহযোগিতা করতে ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত এই নিয়ে দু’টি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানল কুইন্সল্যান্ডে। এর আগে ডিসেম্বররে সেখানে আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় জ্যাসন।