গ্রাম আদালতের কার্যক্রম বাস্তবায়নে কাজ করবে ১৭টি কমিউনিটি রেডিও

গ্রাম আদালতের কার্যক্রম বাস্তবায়নে দেশের কমিউনিটি রেডিওগুলো কীভাবে ভূমিকা রাখতে পারে- এ নিয়ে রেডিওর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। আজ ঢাকার একটি হোটেলে ইউএনডিপির ‘বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্প (৩য় পর্যায়) এভিসিবি-৩’ এর আওতায় কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে গ্রাম আদালত ব্যবস্থায় জেন্ডার ও অন্তর্ভুক্তির প্রচার শিরোনামের এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় রেডিও মহানন্দাসহ দেশের ১৭টি রেডিওর প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। কমিউনিটি পর্যায়ের মানুষদের সচেতনতার লক্ষে আগামী অর্থবছর থেকে ১৭টি কমিউনিটি রেডিওর সাথে কাজ শুরু করতে যাচ্ছে এই প্রকল্প। দিনব্যাপী কর্মশালায় বিভিন্ন সেশন পরিচালনা করেনÑ এভিসিবি-৩ এর লিঙ্গ বিশ্লেষক শামীমা আক্তার শাম্মী, জাতীয় প্রকল্প সমন্বয়কারী বিভাস চক্রবর্তী, প্রকল্প সমন্বয় বিশ্লেষক শঙ্কর পল, আইন বিশ্লেষক মশিউর রহমান চৌধুরী, ইউএনডিপির বাংলাদেশ কান্ট্রি অফিসের যোগাযোগ সহকারী গল্পকার সাদিয়া রহমান, ডেমোক্রেটিক গভর্নেন্স ক্লাস্টার বিভাগের সিনিয়র গভর্নেন্স স্পেশালিস্ট তানভীর মাহমুদ, এভিসিবির যোগাযোগ ও আউটরিচ বিশ্লেষক সুমন ফ্রান্সিস গোমেজ, কমিউনিকেশন অ্যান্ড আউটরিচ অ্যাসোসিয়েট সোনিয়া ফারজানা, বিসিআরএ’র সমন্বয়কারী সুমিতা রবিদাস। রেডিও মহানন্দা থেকে অংশগ্রহণ করেন টেকনিক্যাল অফিসার রেজাউল করিম ও সহকারী প্রযোজক (অনুষ্ঠান ও খবর) উম্মে আয়েশা সিদ্দিকা। বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয় করণ তৃতীয় পর্যায় প্রকল্প, স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এই কর্মশালার আয়োজন করে।

গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষের ছোটখাটো বিষয়ে সুবিচার বিচার প্রাপ্তির কথা বিবেচনায় নিয়ে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে ১৯৭৬ সালে প্রণীত হয় গ্রাম আদালত অধ্যাদেশ। পরবর্তীতে ২০০৬ সালের ৯ মে ১৯নং আইনের মাধ্যমে প্রণীত হয় গ্রাম আদালত আইন। এ আইনের মূল কথাই হলো স্থানীয়ভাবে স্বল্প সময়ে বিরোধ নিষ্পত্তি। নিজেদের মনোনীত প্রতিনিধিদের সহায়তায় গ্রাম আদালত গঠন করে শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধ সমাধানের মাধ্যমে সামাজিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকে বলেই এ আদালতের মাধ্যমে আপামর জনগণ উপকৃত হন।