গোমস্তাপুরে তিনমাস পর কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন

103

গোমস্তাপুরে আদালতের নির্দেশে ৩ মাস পর শমসের আলী নামে এক ব্যক্তির মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। মৃত শমসের আলী গত ১৮ আগস্ট রহনপুর পৌর এলাকার বহিপাড়ার নিজ বাড়িতে মারা যান। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী জেসমিন বেগম আদালতে তাঁর স্বামীকে হত্যার অভিযোগ করলে আদালত গত ২৬ আগস্ট গোমস্তাপুর থানাকে অভিযোগটি মামলা হিসেবে গন্য করে তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিত আদালত গত ৪ সেপ্টেম্বর মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। আজ রহনপুর পৌরএলাকার বহিপাড়া গোরস্থান থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়। মরদেহ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও গোমস্তাপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার( ভূমি) জান্নাতুল ফেরদৌস, গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ইসমাইল হোসেন লিংকন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রহনপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক আবুল হাশেম খন্দকার, ওই এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইসমাইল হোসেন, মামলার বাদীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। মামলার বাদী শমসের আলীর স্ত্রী জেসমিন বেগম জানান, নিমন্ত্রণের দাওয়াত পেয়ে গত ১৭ আগস্ট রাজশাহীতে যান তিনি। পরের দিন তিনটার মধ্যে অন্যের মোবাইল ফোন থেকে জানানো হয় তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে তিনি দ্রুত রাজশাহী থেকে রওনা দেন। সন্ধ্যায় বাড়িতে এসে তাঁর স্বামীর মৃতমুখ দেখতে গিয়ে গলায় রক্ত দেখতে পান। রক্ত দেখে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে পরিবারের লোকজন ঘরে নিয়ে যায়। তাঁকে জানানো হয় তাঁর স্বামীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। ওই সময় তিনি তাঁদেরকে জানান জামাই ঢাকায় আছে সে না আসা পর্যন্ত কবর দিতে নিষেধ করেন। তারপরও তাড়াতাড়ি করে কবর দেওয়া হয়। তাঁর কথা শুনা হয়নি। গলার বিভিন্ন স্থানে দাগ দেখে তখন তাঁর সন্দেহ হয়। দাফনের কয়েকদিন পর আদালতে মামলা করি। মামলা পর্যালোচনা করে মহামান্য আদালত লাশটি উত্তোলন করার আদেশ দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রহনপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক আবুল হাশেম খন্দকার জানান, আদালতের নির্দেশে শমসের আলীর মরদেহ আজ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।