গোমস্তাপুরে ডাকাতির ঘটনায় আন্ত:জেলা ডাকাত দল সর্দারসহ গ্রেপ্তার আরও ৪; আদালতে ২ জনের স্বীকারোক্তি
গোমস্তাপুর উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের নজরপুর এলাকায় আড্ডা থেকে রহনপুরগামী আঞ্চলিক সড়কে একটি যাত্রীবাহী চার্জার ভ্যানে গত ১১ মার্চ ডাকাতির ঘটনায় আন্ত:জেলা ডাকাত দল সর্দার সহ আরও ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে ২জন আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে। এনিয়ে ওই ঘটনায় সরসারি ডাকাতি ও লুণ্ঠিত মালামাল ক্রয়ের ঘটনায় মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যাদের মধ্যে ৩ জন গত ১৯ মার্চ ও ২ জন গতকাল আদালতে দায় স্বীকার করেছে। এদিকে এ ঘটনার পর অব্যহত পুলিশ অভিযানে এ পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে কেড়ে নেয়া ভ্যানগাড়ী ও ১টি মোবাইল ফোন। গ্রেপ্তাররা পেশাদার অপরাধী ও এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার বিপিএম – সেবা রেজাউল করিম।
তিনি জানান, গত ১১ মার্চ জেলার নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের আজইর গ্রাম থেকে গোমস্তাপুরের পার্বতীপুর জগত গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ভাড়া যায় ভ্যানটি। রাত ৮টার দিকে চালক, নারী, শিশুসহ ৯ যাত্রী নিয়ে নাচোল ফেরার পথে নজরপুরে ডাকাতের কবলে পড়ে ওই ভ্যান। দেশী অস্ত্র সজ্জিত মুখে কালো কাপড় বাঁধা ৮-১০ডাকাত চালক ও যাত্রীদের মারধর করে আহত করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে সড়ক পাশের গাছে বেঁধে রেখে ভ্যান,স্বর্নালংকার,নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকার মালামাল কেড়ে নেয়। ঘটনার পর স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
এ ঘটনায় পরদিন ১২ মার্চ ভ্যানচালক ও নাচোলের নুরপুর গ্রামের মৃত ইসরাইলের ছেলে রফিকুল ইসলাম অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে গোমস্তাপুর থানায় একটি মামলা করেন। এরপর থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি) জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে কয়েক দফায় গত ২০ মার্চ পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে। উদ্ধার হয় খন্ডিত ভ্যান ও একটি মোবাইল ফোন। এরপর চলমান অভিযানে ডিবি গত ১ এপ্রিল থেকে ঘটনায় জড়িত আরও ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, গ্রেপ্তার আরও ৪ জনের মধ্যে রয়েছে ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী এবং আন্ত:জেলা ডাকাত দল সর্দার ও গোমস্তাপুরের বোয়ালিয়া ইউনিয়নের বাবুপুর গ্রামের মৃত তহুরুল ইসলামের ছেলে মানিক আলী, জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার টোকনা গ্রামের মৃত সিকিম আলীর ছেলে আল আমিন, জেলার নাচোলের খলসি সিন্দুর মুচিখাড়ি এলাকার একরামুল হকের ছেলে আব্দুল মাতেন ওরফে মতিন এবং নাচোলের বড়িয়া এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে নাইম ইসলাম। এদের মধ্যে ডাকাত সর্দার মানিক ও আল আমিন স্বীকারোক্তি দিয়েছে। অন্য জড়িতদের গ্রেপ্তার ও অন্য মামলাল উদ্ধার অভিযান চলছে।