গোদাগাড়ীতে কৃষক মাঠ দিবস : বিনা ছোলা-৬’র গড় ফলন প্রতি বিঘায় সাড়ে ৫ মণ

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বাংলাদেশ পরামাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট-বিনা উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ছোলার জাত বিনা ছোলা-৬’র প্রচার ও সম্প্রসারণ শীর্ষক কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার গোদাগাড়ী উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের আইহাই ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহীর সহযোগিতায় বিনা উপকেন্দ্র চাঁপাইনবাবগঞ্জ এই মাঠ দিবসের আয়োজন করে। বিনা’র গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের অর্থায়নে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসের আলোচনায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিনা’র মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আজাদ। বিনা উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মো. আজাদুল হকের সভাপতিত্বে এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিনা উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শাহ মোস্তাক আহাম্মাদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিনা’র গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের পিএসও এবং প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মাহবুবুল আলম তরফদার, উপ-প্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান, বিনা’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মো. বাবুল আকতার,  ঢাকা বিআরসি প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. আহমেদ নুমেরী আশফাকুল হক, রাজশাহী হটিকালচার সেন্টারের এডিডি সাবিনা বেগম, গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার মরিয়ম আহমেদ, গোদাগাড়ী উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. গোলাম আযম। মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় স্থানীয় কৃষকরা অংশগ্রহণ করেন। আলোচনা সভায় বক্তারা বর্তমানে গোদাগাড়ী উপজেলাসহ বরেন্দ্র অঞ্চলের পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে ধানের চাষাবাদ কমিয়ে পানি সাশ্রয়ী ফসল, ছোলা, মসুর, গম, সরিষা, আলু, ভুট্টাসহ বিভিন্ন উন্নত জাতের ফসল চাষাবাদের পরামর্শ দেন। মাঠ দিবসে জানানো হয়, বিনা ছোলা-৬ জাতের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর জীবনকাল ১২২-১২৬ দিন, বীজের দানা বড়, উজ্জ্বল বর্ণ, বীজ বপনের উপযুক্ত সময় ১৫ অক্টোবর হতে ১৫ নভেম্বর (কার্তিক মাস), রোগপ্রতিরোধী অতি খরাপ্রবণ এলাকায় চাষাবাদ করা যায় এবং গড় ফলন পাওয়া যায় প্রতি বিঘায় ৫ থেকে সাড়ে ৫ মণ। এই জাতটি বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, নাচোল, গোমস্তাপুর, রাজশাজীর গোদাগাড়ীসহ খরাপ্রবণ এলাকায় চাষাবাদ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে বলে জানানো হয়।