গুপ্তচরবৃত্তির শাস্তি কঠোর করে ইরানের পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস

ইরানের পার্লামেন্ট গুপ্তচরবৃত্তি এবং ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশি শত্রু রাষ্ট্রকে সহযোগিতার শাস্তি বাড়ানোর জন্য একটি বিলের সংশোধনী অনুমোদন করেছে। খবর বিবিসি ও ইরান ফ্রন্ট পেজের।  সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, সংশোধনী প্রস্তাবটি আজ সোমবারের অধিবেশনে বিপুল ভোটে পাস হয়েছে।  সংশোধিত আইন অনুযায়ী, যদি কেউ শত্রু রাষ্ট্র ও গোষ্ঠীর জন্য কোনো গোয়েন্দা ও গুপ্তচরবৃত্তির কার্যকলাপ এবং অপারেশনাল কার্যক্রমে জড়িত বলে প্রমাণিত হয়, তfহলে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা যাবে।

সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলকে এই শত্রু রাষ্ট্র ও গোষ্ঠী চিহ্নিত করার কর্তৃপক্ষ এবং মিনিস্ট্রি অব ইন্টেলিজেন্সকে শত্রুদের নেটওয়ার্ক চিহ্নিত করার কর্তৃপক্ষ হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে প্রস্তাবের মূল বক্তব্যে। সুপ্রিম জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল (যারা ইতোমধ্যেই শত্রু রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত) বাদে অন্যান্য শত্রু রাষ্ট্র ও গোষ্ঠীগুলোকে মনোনীত করার ক্ষমতা রয়েছে। সংশোধিত আইনে শত্রু রাষ্ট্রগুলোকে আর্থিক, প্রযুক্তিগত বা সামরিকভাবে সহায়তাকেও অপরাধের আওতায় আনা হয়েছে। রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রমের লক্ষ্যে স্টারলিংকের মতো অবৈধ যোগাযোগ ডিভাইস ব্যবহারও দণ্ডনীয়। এছাড়াও সংশোধিত মূল প্রস্তাবের আরেকটি অনুচ্ছেদে জনসাধারণের মধ্যে বিভাজন বা জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে শত্রু বা বিদেশি নেটওয়ার্কগুলোতে যারা তথ্য বা ভিডিও পাঠায় তাদের শাস্তি নির্ধারণের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী এই কর্মকাণ্ডগুলো এখন থেকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। একইসাথে এর জন্য কারাদণ্ড এবং সরকারি ও জনসেবা থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করার শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে। ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয়কে ‘প্রতিকূল মিডিয়া’ চিহ্নিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য দ্রুত আইনি পদক্ষেপ চালু করা হয়েছে। ইরানের আইনপ্রণেতারা জোর দিয়ে বলেছেন, ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যে জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার জন্য এই ব্যবস্থাগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।