খোঁজ মিলেছে বিপিএলের হারিয়ে যাওয়া ড্রোনের

96

কবি শামসুর রাহমানের বিখ্যাত কবিতা ‘পন্ডশ্রম’র অতি পরিচিত একটি বাক্য, ‘কান নিয়েছে চিলে’। কবিতাটির সারমর্ম হলো, কান ছিল কানের জায়গায়ই। কিন্তু চিল কান নিয়ে উড়ে গেছে শুনে সবাই মিলে ছোটাছুটি শুরু করেছে চিলের পেছনে। শেষমেশ দেখা গেল, কান আছে কানের জায়গায়ই। ঠিক যেন এই কবিতারই দৃশ্যায়ন হলো চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা গড়াতেই খবর চাউর হলো, হারিয়ে গেছে বিপিএল সম্প্রচারের ড্রোন, খোঁজ দিতে পারলে মিলবে আর্থিক পুরস্কার। এছাড়া সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও চলে খোঁজ করার প্রক্রিয়া। কিন্তু কিছুতেই মেলেনি খোঁজ। অবশেষে আজ (বুধবার) দেখা গেল, কোথাও হারায়নি ড্রোনটি। আটকে ছিল স্টেডিয়ামের উত্তর-পূর্ব পাশের ফ্লাডলাইটের স্ট্যান্ডে, যা প্রথমে ধরা পড়ে মাঠের খেলা সম্প্রচার করতে থাকা ক্যামেরায়। পরে ভালোভাবে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, এটিই হারিয়ে যাওয়া সেই ড্রোন, যা মাঠকর্মীদের একজনের মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়।

আনা-নেয়া এবং পরিচালনার বাড়তি ঝামেলার কারণে ঢাকা থেকে আনা হয়নি স্পাইডার ক্যামেরা। এর ঘাটতি পোষাতে আনা হয়েছে দুটি ড্রোন ক্যামেরা। যেগুলো আবার কানাডিয়ান নাগরিক ক্রিস ফিকরেটের ব্যক্তিমালিকানাধীন। কিন্তু গতকাল পুরো মাঠের ভিউ নিতে একটি ড্রোনের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন তিনি, যা আর খুঁজে পাননি।

প্রাথমিকভাবে ফিকরেট জানিয়েছিলেন, দিনের প্রথম ম্যাচ (রাজশাহী রয়্যালস বনাম খুলনা টাইগার্স) চলাকালীন ড্রোনটি উড়তে উড়তে ফ্লাডলাইটের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে এর ব্যাটারিগুলো ছিটকে পড়ে যায় এবং ক্যামেরাটিও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়ে হারিয়ে যায়। পরে ড্রোনটি খুঁজে দিতে পারলে ১০ হাজার টাকা অর্থ পুরস্কারের ঘোষণাও দেয়া হয়।

মূলত গতকাল সন্ধ্যা হওয়ার কারণেই ফ্লাডলাইটে আটকে থাকা ড্রোনটি দেখতে পায়নি কেউ। তবে আজ দিনের খেলা শুরু হতেই ক্যামেরায় ধরা পড়ে ফ্লাডলাইটের স্ট্যান্ডে আটকে আছে ড্রোনসদৃশ একটি বস্তু, যা দেখে নিজের দ্বিতীয় ড্রোনটি দিয়ে ভালোভাবে হারিয়ে যাওয়া ড্রোনের অবস্থান যাচাই করেন ফিকরেট এবং উদ্ধার করে আনেন সেটি। তবে ড্রোনের দুটি পাখা ভেঙে গেছে।