কেন আদা কাশি দূর করতে কার্যকরী?
– আদায় অ্যান্টিইনফ্লামেটরি এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান থাকে যা
ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে কাজে লাগে।
– শ্বাসনালীতে জমে থাকা কফকে নরম বা ঢিলা করতে সাহায্য করে।
– আদায় থাকা জিঞ্জেরল এবং জিঞ্জিবেরিন ইমিউনিটিকে উদ্দীপ্ত করে।
– এটি অন্ননালীতে আবরণ তৈরি করে বলে চুলকানি ও যন্ত্রণা প্রতিরোধ হয়।
– কাশির ফলে গলায় যে প্রভাব পরে তা কমাতে এবং গলাকে নমনীয় করতে সাহায্য করে।
– কাশি দূর করার জন্য আদা ব্যবহার করবেন কীভাবে?
১। শুধু আদা
কাশি দূর করার জন্য আদা টুকরো করে কেটে চিবিয়ে খেতে পারেন দিনে ৩ থেকে ৪ বার।
২। আদা চা
১ ইঞ্চি পরিমাণ আদা কুঁচি করে নিন। ১ কাপ পানি ফুটতে দিয়ে এর মাঝে আদা কুচি দিয়ে দিন। অল্প আঁচে ৫ মিনিট রেখে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। মিশ্রণটি ঠান্ডা হতে দিন। তবে কুসুম গরম থাকাই ভালো। লেবুর রস মিশিয়ে দিনে ২ বার পান করুন।
৩। আদা তুলসী
১০/১৫ টা তুলসী পাতা পিষে নিন। ১ ইঞ্চি পরিমাণ আদা থেঁতলে নিয়ে রস বের করুন। তুলসী পাতার পেস্টের সাথে আদার রস ও মধু মেশান। ১ চামচ করে দিনে ৩ বার এই মিশ্রণটি সেবন করুন।
৪। গোল মরিচ ও আদা
১ ইঞ্চি আদা কুচি করে ও থেঁতলে রস বের করে নিন। আদার রসের সাথে ১ চিমটি করে গোল মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও মধু যোগ করুন। ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে মিশ্রণটি চেটে খান ১০ মিনিট যাবৎ। দিনে ৩ বার এটি করুন।
৫। আদা ও মধু
শ্বাসনালীকে প্রশমিত করতে এবং কাশি সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে মধু। ১ ইঞ্চি পরিমাণ আদার রসের সাথে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে নিনে দিনে ৩ বার গ্রহণ করুন। এই মিশ্রণটি খাওয়ার পর আধা ঘন্টা পানি পান করবেন না।
টিপস ও সতর্কতা:
– যদি আদার প্রতি অ্যালাজি থাকে তাহলে আদা ব্যবহার করবেন না।
– যন্ত্রণা কমাতে ও পরবর্তী সংক্রমণ ঠেকাতে লবণ পানি দিয়ে কুলকুঁচি করুন।
-ঠান্ডা পানি পান করবেন না, উষ্ণ পানি পান করুন।
-স্যুপ খেতে পারেন ভালো অনুভব করার জন্য।
-প্রচুর তরল খাবার পান করুন।
-ইমিউনিটিকে শক্তিশালী করার জন্য প্রতিদিন আদা খান।