ক্লান্ত লাগছে জানেন তো কেন

98

সারাদিন ক্লান্তভাবের কথা বলে জিমেও যাচ্ছেন না। এর সবই অবসাদের লক্ষণ। ভারতের জীবনধারা ও স্বাস্থ্য-বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গুরুতর অসুস্থতা থেকেও কেউ ক্লান্তি অনুভব করতে পারে। কী কারণে আপনি সারা দিন ক্লান্তি অনুভব করেন, তার কিছু কারণ দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে। আসুন, আমরা সে সম্পর্কে জেনে নিই:
রক্তস্বল্পতা: ক্লান্তি বা অবসাদগ্রস্ততার অন্যতম কারণ রক্তস্বল্পতা। যদি আপনি রক্তস্বল্পতায় ভোগেন, তাহলে রক্তে লোহিত কণিকার অভাব দেখা দেবে, যা শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন সরবরাহ করে। যদি আপনার সারাক্ষণ মাথাব্যথা করে, বুক ধড়ফড় করে, ঘুমের ঘাটতি ইত্যাদি দেখা দেয়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ডায়াবেটিস: যদি এনার্জি লেভেল কম থাকে, সর্বদা তৃষ্ণা অনুভব করেন, ঘন ঘন প্রস্রাব আসে, হঠাৎ ওজন কমে যায়, মেজাজ খিটখিটে থাকে, তাহলে আপনি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা পরীক্ষা করুন। এই ক্লান্তি ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে। তো দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।

ভিটামিন বি১২-এর অভাব: ভিটামিন বি১২ হচ্ছে অন্যতম ভিটামিন, যা প্রয়োজনীয় শক্তির মাত্রা মেইনটেইন করে। এ ভিটামিনের অভাব আমাদের ক্লান্তি ও মানসিক দ্বন্দ্বের কারণ। আপনি এর জন্য সাপ্লিমেন্ট নিতে পারেন, অথবা ডিম, মুরগি ও মাছের মতো প্রাকৃতিক উপাদান থেকেও নিতে পারেন।

ঘুমের অভাব: পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের মতোই পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়। আর এর জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন দরকার। বাজে জীবনযাত্রা, খাওয়ায় অনিয়ম ও ব্যায়ামের অভাবে নানা রোগ হতে পারে। অপর্যাপ্ত ঘুম ক্লান্তির কারণ হতে পারে। শরীর ও মনের স্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন অন্তত ছয় ঘণ্টা ঘুম জরুরি।

মানসিক চাপ: স্বাভাবিক মানসিক চাপে অবশ্য তেমন কিছু হয় না। কিন্তু অতিরিক্ত মানসিক চাপ আপনার এনার্জি লেভেলের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। অনেক সময় চাপ এড়ানো যায় না, কিন্তু আপনাকে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে যোগব্যায়াম ও ধ্যান আপনাকে সাহায্য করবে।

বিষণ্ণতা: বিষণ্ণতা থেকেও ক্লান্তি বা অবসাদগ্রস্ততা হতে পারে। যদি সারাক্ষণ নেতিবাচক চিন্তা করেন, মানুষের সঙ্গে কম মিশতে চান বা নিজেকে গুটিয়ে রাখার প্রবণতা থাকে, তাহলে আপনি বিষণ্ণতায় ভুগছেন। এ ক্ষেত্রে আপনাকে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের শরণ নিতে হবে, যিনি আপনাকে সমাধানের উপায় বাতলে দেবেন।

আর্দ্রতার অভাব : শরীরকে আর্দ্র রাখা সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি। শরীরে পানির অভাবে ডিহাইড্রেশন হয়। পানির অপর্যাপ্ততা শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতায় প্রভাব পড়ে। ফলে আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়েন। তাই পর্যাপ্ত পানি পান করে শরীরকে হাইড্রেট রাখুন। এছাড়া অতিরিক্ত এনার্জি ড্রিংকস গ্রহণ, প্রোটিনের অভাব, ক্যালোরির অভাবসহ বিভিন্ন কারণে আপনি ক্লান্তি অনুভব করতে পারেন। তাই এ ক্ষেত্রে আপনার জন্য যেটা জরুরি, তা হলো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।