ক্রিকেটই ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন ব্যানক্রফট

168

চলতি বছর মার্চে বল ট্যাম্পারিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারের সাথে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ক্যামেরন ব্যানক্রফট। স্মিথ ও ওয়ার্নার ১২ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হলেও ব্যানক্রফট নিষেধাজ্ঞা পান ৯ মাসের। সে হিসেবে ডিসেম্বর মাসেই শেষ হচ্ছে ব্যানক্রফটের নির্বাসনের মেয়াদ। ডিসেম্বরের ৩০ তারিখ বিগ ব্যাশে পার্থ স্কচার্সের জার্সি গায়ে ক্রিকেট মাঠ ফিরবেন ২৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, বল ট্যাম্পারিং-কাণ্ডের পর ক্রিকেটই ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। হতে চেয়েছিলেন ইয়োগা শিক্ষক। সম্প্রতি ওয়েস্ট অস্ট্রেলিয়া পত্রিকায় নিজের সম্পর্কে একটি নিবন্ধ লিখেছেন ব্যানক্রফট। সেখানে তিনি লিখেছেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নির্বাসনে থাকার সময় ক্রিকেট ছেড়ে দিতে ইচ্ছে হয়েছিল তার। তার একসময় মনে হয়েছিল ক্রিকেটে আর ফেরা সম্ভব নয়। কিন্তু ক্রিকেট থেকে দূরে থাকাও সম্ভব হয়নি তার। তাই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষের দিকে আসার সাথে সাথেই ব্যাট হাতে অনুশীলনে নেমে পড়েন তিনি। নির্বাসনের সময় নিজের মানসিক অবস্থার বর্ণনা দিয়ে ব্যানক্রফট লিখেছেন, ‘সম্ভবত ক্রিকেট তোমার জন্য নয়। তুমি নিজেকে জিজ্ঞেস করো, তুমি কি ফিরবে? বরং ইয়োগা তোমার অনুভূতিকে পরিপূর্ণ করতে পারবে। তবে এই বাস্তবতা মেনে নেওয়া কষ্টকর হতো।’ মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বল ট্যাম্পারিং কেলেঙ্কারিতে জড়ায় অস্ট্রেলিয়া। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন সেই সময়ের অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথও। তিনি জানিয়েছেন, নিউল্যান্ড টেস্টের ড্রেসিং রুমে তার সামনেই বল ট্যাম্পারিংয়ের পরিকল্পনা করেছিল ওয়ার্নার ও ব্যানক্রফট। তিনি যুক্ত না থাকলেও ঘটনাটি থামাতে কোন ভূমিকা নেননি। তিনি স্বীকার করেছেন, চাইলে তিনি তা থামাতে পারতেন। এটাকে নিজের নেতৃত্বের ব্যর্থতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। পরবর্তীতে এ ঘটনায় শাস্তি পেতে হয় তিন ক্রিকেটারকে। সিরিজ শেষে পদত্যাগ করেন সেই সময়ের কোচ ড্যারেন লেম্যানও। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট সংস্কৃতি নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছিল বিশ্বব্যাপী।