ক্যান্সার রোধে কাঁকরোল

530

কাঁকরোল। জনপ্রিয় একটি সবজি। বৈজ্ঞানিক নাম Momordica cochinchinensis। এর আদি উৎস ভিয়েতনাম হলেও চাষ হয় প্রায় কম-বেশি সব দেশেই। বাংলাদেশেও পাওয়া যায় সবখানেই। নানাবিধ পুষ্টিগুণের কারণে একে ‘স্বর্গীয় ফল’ও বলা হয়ে থাকে। শরীরকে সুস্থ রাখতে কাঁকরোল খাওয়া উচিত। কাঁকরোলের কিছু বিশেষ গুণের দিক তুলে ধরা হলো পাঠকদের জন্য।
-গর্ভবতী মাদের জন্য কাঁকরোল বেশ উপকারী। গর্ভাবস্থায় অনেক মাদের স্নায়ুবিক ত্রম্নটি দেখা দেয়। কাঁকরোলে থাকা ভিটামিন বি ও সি স্নায়ুবিক ত্রম্নটি হতে বাধা দেয়।
– শুধু কাঁকরোল নয় এর শেকড়ের রস আদার সঙ্গে খেলে শ্বাসকষ্ট দূর হয়।
-কিডনির পাথর নির্মূলে দুধের সঙ্গে কাঁকরোল বাটা উপকারী।
– কাঁকরোল খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
-কাঁকরোলে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান থাকে। যা শরীরে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
– কাশি নিরাময়ে কাঁকরোল বাটা কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
-কাঁকরোলে পাওয়া যায় বিটা ক্যারোটিন, আলফা ক্যারোটিন, লিউটেইন। ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ মুছতে তাই সবজিপ্রেমীরা কাঁকরোল খান নিয়মিত।
-কাঁকরোলে আছে ভিটামিন এ। যা দৃষ্টিশক্তিকে মজবুত রাখে।
– কাঁকরোলে প্রচুর আয়রন, ভিটামিন সি ও ফলিক অ্যাসিড থাকে। তাই অ্যানেমিয়ার প্রতিহত করে কাঁকরোল।
– অতিরিক্ত কোলেস্টেরেল কমায় কাঁকরোল।
– কাঁকরোলে সেলেনিয়াম, মিনারেল এবং ভিটামিন থাকে। যা নার্ভাস সিস্টেমের ওপর গুরম্নত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে। তাই বিষণœতা দূর করতেও কাঁকরোল খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।