আগামী সোমবার কোরিয়া পৌঁছানোর পরের দিন দেশটির অনূর্ধ্ব-১৬ দলের বিপক্ষে ম্যাচ। ছোটন অবশ্য ভ্রমনক্লান্তি নিয়ে ভাবছেন না। বলছেন, পেশাদার হতে হলে এতটুকু ধকল সহ্য করতে হবে মেয়েদের। জাতীয় দলের মেয়েদের সাফ ফুটবলের রানার্সআপ করানো এই কোচের বর্তমান ভাবনা পজিশন বদল করিয়ে খেলানোর কৌশলের সঙ্গে কৃষ্ণারা কতটুকু অভ্যস্ত হলো সেটা দেখা। আমরা জাপানে যে দলগুলোর সঙ্গে খেলেছি, ওখানে আমরা ফর্মেশন নিয়ে কাজ করেছি। আমাদের মেয়েরা একটা পজিশনে খেলে অভ্যস্ত; অন্য পজিশনে খেলতে বললে তারা অস্বস্তি অনুভব করে। আমরা ওগুলো নিয়েও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি। আমি মনে করি, যেহেতু কোরিয়ার অনূর্ধ্ব-১৬ দলের বিপক্ষে এবার খেলব, জাপানে যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি তার ফলটা আমরা পাব। তালিকায় ফরোয়ার্ড তিনজন কিন্তু জাপানে আমরা সানজিদাকে (মিডফিল্ডার) সেন্ট্রাল ডিফেন্সে শামসুন্নাহারের সঙ্গে সাইড-ব্যাক হিসেবে খেলিয়েছি। কৃষ্ণা সবসময় নাম্বার টেন হলেও সে এখন ডিপে (একটু নিচে নেমে) খেলছে। আমাদের সুবিধা হচ্ছে আমাদের বিভিন্ন খেলোয়াড় বিভিন্ন পজিশনে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। ২৩ জনের দল নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়া ছোটন আপাতত থাইল্যান্ডের মিশন নিয়ে খুব একটা ভাবছেন না। তবে শিষ্যদের সামর্থ্যরে ওপর আস্থা থাকার কথা ঠিকই জানালেন। অনূর্ধ্ব-১৬ এর কোয়ালিফাইয়ের সময় মেয়েদের যে শক্তি, স্টেমিনা ছিল, এখন তা তার চেয়ে অনেক ওপরে। আমি মনে করি, শারীরিকভাবে মেয়েরা আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী এবং টেকনিক্যালি ও টেকটিক্যালি আরও ভালো হয়েছে। তবে থাইল্যান্ডের প্রতিযোগিতায় আমাদের বাস্তবতাও বুঝতে হবে। আমাদের গ্রুপে থাকা উত্তর কোরিয়া চ্যাম্পিয়ন, জাপান রানার্সআপ এবং তারা সেরা দল। আশা করি, আমরা জানান দিতে পারব, বাংলাদেশের মহিলা ফুটবল এগিয়ে যাচ্ছে এবং আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করব। অধিনায়ক কৃষ্ণা রানীও দক্ষিণ কোরিয়ার ভালো কিছু করার প্রত্যাশার কথা জানালেন। আমরা জাপানে দুইবার, চীন ও সিঙ্গাপুরে একবার করে গেছি। এবার আমরা কোরিয়া যাচ্ছি। সেখানে ভালো কিছু করার চেষ্টা করব। জাপানে যেহেতু কিছু ভুলত্রুটি ছিল; কোরিয়াতে সেগুলো শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করব। এজন্য আমরা অনেক কঠিন পরিশ্রম করেছি। দলেও অনেক পরিবর্তন আসছে। সবার আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। আমরা যে যার পজিশনে খেলি, সেখানে ধরে খেলার আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে।